মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

”আজ থেকে আট বছর আগে মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন”

আমার মায়ের মৃত্যু দিবস ৪ অক্টোবর। আজ থেকে আট বছর আগে মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মধ্যে বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে মা হয়ে পড়েন অসহায়। সহায় সম্বলহীন মা গ্রামীণ জীবনে দশ-দশটি বিভিন্ন বয়সের সন্তানদের নিয়ে আটকা গেলেন। মা দিশেহারা হয়ে গেলেন। আমরা বয়সে অনেকেই খুব ছোট, আমরাও অবুঝ। অনেক কিছুই বুঝি না।

গ্রামের বাড়িতে চাচার ছেলেমেয়েগুলো একটাও লেখাপড়া করে না। কী সুন্দর স্বাধীন জীবন তাদের, খাচ্ছে, বেড়াচ্ছে, ঘুমাচ্ছে! গ্রামে আমার সমবয়সী ছেলেরা কত স্বাধীন, মায়ের শাসন তাদের জীবনে নেই! বুক ফেটে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসত! এদের মায়েরা কত ভালো! আমার কেন আমার চাচির ঘরে অথবা এদের কোনো এক মায়ের ঘরে জন্ম হলো না! মন-মেজাজ ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। তখন বোধহয় সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। লেখার জন্য খাতা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের শৈশবে এখনকার মতো নোট বুক বাঁধানো খাতা পাওয়া যেত না। দিস্তা হিসাবে কাগজ কিনতে হতো। বারোটা সাদা শিটের কাগজ এক দিস্তা হিসাবে পাওয়া যেত। এক দিস্তা কাগজের দাম খুব সম্ভব বারো আনা অথবা দেড় টাকা ছিল। মাকে বললাম, আমার কাগজ লাগবে। মা বললেন, ‘আজ পয়সা নেই, পরের সপ্তাহে কিনে দেব।’ রাগ হয়ে গেল। রেগে মাকে বললাম, ‘কাগজ কিনে দিতে পারো না, তাহলে লেখাপড়া শেখানোর শখ কেন?’ মা ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘পাগল ছেলে, আমি কি আমার জন্য তোদের লেখাপড়া শিখাচ্ছি?’

মা অসুস্থ হয়ে ল্যাব এইড-এ আছেন। মেলবোর্ন থেকে মাকে দেখতে গিয়েছি। ল্যাব এইড হসপিটালের বেডে, মা নাকে নল, দুই হাতে স্যালাইন নিয়ে শুয়ে আছেন। কালশীটে পড়ে চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে। কথা বলার ক্ষমতা নেই। জড়িয়ে কথা বলছেন, বোঝা যায় না। মাকে দেখে চমকে গেলাম! ছয়-সাত মাস আগে বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা গেছিলাম, তখন মাকে দেখেছিলাম। এখন এ কোন মাকে দেখছি? হসপিটালের বেডে একটি নিস্তেজ দেহ শুয়ে আছে। এটা আমার মা নয়! ল্যাব এইডের সিসিউ থেকে ছিটকে বের হয়ে আসি। বাইরে বড় আপা, বড় ভাইসহ অন্য ভাইবোনেরা দাঁড়িয়ে আছে। আপার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডুকরে উঠি, ‘আপা এ আমি কাকে দেখছি! এটাই কি আমাদের মা?’

ইনস্টিটিউট থেকে মাত্র পাঁচদিনের ছুটি নিয়ে গেছি। মেলবোর্নে তখন পুরোদমে সেমিস্টারের ক্লাস চলছে। চলে আসতে হবে। ঢাকা থেকে আমার রিটার্ন ফ্লাইট বিকেলে। সকালে হসপিটালে গেছি মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেব। বিদায়ের সময় কোনোভাবেই মায়ের সামনে কাঁদব না। মায়ের মাথাটা বুকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকি। মা তাঁর দুর্বল হাতের তালু দিয়ে আমার হাতের আঙুলগুলো মুঠি করে, শক্তভাবে ধরে আছেন, ছাড়েন না! মেলবোর্নে ব্যাক না করলে কি হয়! চাকরি গেলে যাবে! মায়ের কানের কাছে মুখটা নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলি, ‘মাগো, আমি আজ যাব না।’ মায়ের চোখের তারায় খুশির ঝলক। আস্তে করে নিজের মুঠি থেকে আমার হাত ছেড়ে দিলেন। তাড়াতাড়ি সোনারগাঁও হোটেলে এয়ারলাইন্সে গিয়ে আমার যাওয়া দুদিন পিছিয়ে দিলাম। দুদিন পর বিদায়ের দিন আবারও উপস্থিত। এইবার স্যুটকেস নিয়ে হসপিটালে গেলাম, মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়েই এয়ারপোর্টে চলে যাব। মায়ের শয্যার পাশে দাঁড়াতেই দুর্বল হাতটি বাড়িয়ে আমার হাতের আঙুলগুলো শক্ত করে ধরলেন, ছাড়েন না। আমি কোনোভাবেই বলতে পারছি না, মা আমি আজ চলে যাচ্ছি। মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলি, ‘মা আমি আজও যাব না।’ আজ মনে হলো মায়ের ঠোঁটের কোণে ঈষৎ হাসি বয়ে গেল। আবারও যাওয়া দুদিন পিছিয়ে দিলাম। সেমিস্টার শেষের দিকে। সাবজেক্ট পড়ানো শেষ করতে হবে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জমা দিতে হবে, পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। আর কোনোভাবেই ঢাকা থাকা সম্ভব না। যতক্ষণ পারি আমরা সব ভাইবোনই হসপিটালে মায়ের কাছে থাকার চেষ্টা করছি। আমার ছোট ভাইটিও মেলবোর্ন থেকে এসেছে মাকে দেখতে। আজ ওকেও যেতে হবে। দুই ভাই স্যুটকেসসহ এসেছি মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেব।

মার শয্যার পাশে দাঁড়ালাম। আজ আর মা দুর্বল হাতে আমার হাতটা ধরলেন না। আলতো করে মায়ের কপালের ওপর চিবুকটা রেখে লেপটে থাকি কিছুক্ষণ। মাকে বলতে চাইলাম, মা আমি এখন যাচ্ছি, আমার সব অন্যায় মাফ করে দিও। বলতে পারলাম না। গলা বুঁজে আসছে, বুক ভারী হয়ে আসছে! মা কী বুঝলেন জানি না, অনেক কষ্ট কোরে, কাঁপা হাতে আমার মাথাটি ধরে বুকের সঙ্গে চেপে রাখলেন। আলতো করে আমার কপালে শুষ্ক ঠোঁট দুটি ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলেন। আমি কিছুতেই মায়ের সামনে কাঁদব না। মা তার দুর্বল হাত দুটি আলগা করে দিয়ে আমার মাথাটি ছেড়ে দিলেন! মা আমার দিকে তাকিয়ে নেই, দৃষ্টি শূন্যে। দুই চোখের কোণায় বড় বড় দুটি পানির বিন্দু! আমি জানি মা কেন শূন্যে তাকিয়ে আছেন। মায়ের নিঃশব্দ কথাগুলো আমি শুনতে পাচ্ছি! শুধু শুনতেই পাচ্ছি না, আমার মর্মমূলে গেঁথে যাচ্ছে! আমার বুকের পাঁজরে বসে যাচ্ছে! মা শূন্যেই তাকিয়ে আছেন! আমি ল্যাব এইডের সিসিউ থেকে ছিটকে বের হয়ে, করিডরে স্থান, কাল, পারিপার্শ্বিকতা ভুলে বাচ্চাদের মতো চিৎকার করে কেঁদে উঠি।

ঢাকা থেকে মেলবোর্ন চলে আসার পাঁচদিন পর বড় ভাই ফোন করে বললেন, ‘মা আর নেই রে!’

আমার মা ছিলেন সন্তান অন্তঃপ্রাণ একজন মায়াবতী, কোমলমতি দায়িত্বশীল জননী। সব সন্তানের কাছেই তার মা প্রিয়, সব মায়েদের কাছেই তাঁর সন্তান সবচেয়ে প্রিয়। পৃথিবীর সব মা-ই সন্তানকে মানুষ করতে অনেক কষ্ট করেন, ত্যাগ করেন। সন্তান ‘মানুষ করার’ সংজ্ঞা বা জীবনে ‘মানুষ হওয়ার’ সংজ্ঞা আমি অন্যভাবে দেখি। আমার কাছে মনে হয়, জীবনে লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হওয়াটাই ‘মানুষ হওয়া’ না। ‘মানুষ হওয়ার’ জন্য প্রয়োজন পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলি অর্জন। মন ও মননে বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, ভাইবোনদের প্রতি ভালোবাসা-মায়া, দেশের প্রতি নাড়ির টান, মানুষের প্রতি সহানুভূতি, সাহায্য করার প্রবণতা, আচার আচরণে শিষ্টাচার, দাম্ভিকতা না দেখানো, নিঃস্বার্থপরতা এগুলোই তো মানবিক গুণাবলি! আমরা ভাইবোনেরা মানুষ হয়েছি কি না জানি না, তবে এতটুকু জানি আমাদের সবার ভেতরে মানবিক গুণাবলিগুলো প্রবল।

ওগুলোই মা আমাদের ভেতর সুন্দর করে আমাদের মন ও মননে গেঁথে দিতে পেরেছেন। আর এই জায়গাটিতেই আমাদের মা এক অনন্য নারী, সার্থক জননী। এ কারণেই বাবা-মা মারা যাওয়ার পরও তাদের আমরা প্রতিনিয়ত তীব্রভাবে অনুভব করছি। আমরা ভাইবোন-পাগল মায়ের সন্তান। আমাদের ভাইবোনদের কারো কিছু হলে এই বয়সেও যে যেখানেই আছি সবাই গলা ছেড়ে কাঁদতে বসি। মায়ের কথা এলেই সবার চোখে পানি চলে আসে। আর প্রসঙ্গ গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সবার কান্নার উচ্চতাও বাড়তে থাকে। মা জীবিত থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আমরা ভাইবোনরা বুঝে, না বুঝে অনেক সময় মায়ের সঙ্গে জোরে কথা বলে উঠেছি, মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি, অনেকেই কাঁদিয়েছি। এই রকম একজন মা, গভীর প্রজ্ঞাপূর্ণ একজন অসাধারণ নারীর তাঁর সন্তানদের কাছ থেকে কিঞ্চিৎতম কষ্টও পাওয়া উচিত ছিল না। আমি নিশ্চিত আমার সব ভাইবোনই প্রতিদিনই দিনে একবারের জন্য হলেও মনে মনে বলে, ‘মাগো দেখো তোমার সন্তানটি কেমন করে সারাদিন নিঃশব্দে কাঁদে! আমাদের মাফ করে দিও মা!’ আফসোস একটাই, মা চলে যাওয়ার পর আজ আমরা আরো তীব্রভাবে মাকে অনুভব করছি। যে কষ্ট মা তাঁর সন্তানদের কাছ থেকে পেয়েছেন, এখন তার সন্তানরা সেই কষ্টের সহস্রগুণেরও বেশি কষ্ট পাচ্ছে। যদি কোনো উপায় থাকত, পদ্ধতি থাকত, আমি পৃথিবীর সব সন্তানকে মিনতি করে বলতাম, ‘তোমাদের মাকে কখনো কষ্ট দিও না, সন্তানের কাছ থেকে মা যে কষ্ট পান, মা মনে রাখেন না! মা চলে যাওয়ার পর সন্তানের কাছে সেই কষ্ট ফিরে আসে, সহস্রগুণে প্রতিক্ষণে!’ যখনই মায়ের কথা মনে হয়, আমি সৃষ্টিকর্তাকে বলি, বারবার বলি, ‘আল্লাহ আমার বাবা-মাকে দয়া করো, অনুগ্রহ করো, যেভাবে তারা আমার শিশুকালে আমাকে আগলে রেখেছিলেন।’

গত দুই বছর আগে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। প্রায় এক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলাম। স্থানীয় একজন ডাক্তার মন্তব্য করেছিল, আমি মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেছি। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হসপিটালের ইমার্জেন্সিতে, জিপি, কার্ডিওলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট এমনকি হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের কাছেও গেছি। এমনও হয়েছে প্রত্যেক ডাক্তারের কাছে মাসে, দুই-তিনবারেরও বেশি গেছি। অবস্থা এমন দাঁড়াল আমার মনে হয় হসপিটালের ইমার্জেন্সির স্টাফরা, জিপি, স্পেশিয়ালিস্ট ডাক্তাররা প্রত্যেকেই আমাকে দেখলেই বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড ভয় আমাকে স্থবির কোরে ফেলল। প্রচণ্ড মৃত্যুভয়! অফিসের উদ্দেশে রওনা দিই, কিছু দূর যাওয়ার পর পরই তীব্র ভয় আমাকে গ্রাস করে।

আমি অফিসে যেতে পারি না, বাসায় চলে আসি। বিদেশে কনফারেন্স, সেমিনারে যাওয়া বাতিল করে দিতে হলো, যাওয়ার কথা ভাবতেও পারি না। ক্লাস নেওয়া থেকে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকি। দিনের বেলায়ও বাসায় একা থাকতে পারি না, রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার আমাকে আতঙ্কিত করে ফেলে। জীবন প্রায় অচল হয়ে গেল। সারাক্ষণ আল্লাহকে ডেকে যাচ্ছি। হঠাৎ একদিন মনে হলো, আচ্ছা আমি মৃত্যুকে কেন এত ভয় পাচ্ছি? ওই জগতে তো আমার বাবা-মা আছেন। বিশেষ করে আমার মা যেভাবে আমাদের এই পৃথিবীতে আগলে রাখতেন, তেমনি করে ওই জগতেও মা আমাদের তার কাছে রাখার জন্য আল্লাহর দরবারে সেজদায় পড়ে থাকবেন। আমি আল্লাহর কাছে সারাক্ষণ দোয়া করি আর আশা করি আল্লাহ আমার মাকে বেহেশতের শ্রেষ্ঠ জায়গাটিতে রাখবেন। অন্য কোনো কারণে না হলেও শুধু দশ-দশটি অনাথ এতিম-সহায় সম্বলহীন সন্তানদের জন্য যে কষ্ট, যে ত্যাগ উনি করেছেন তার বিনিময়ে হলেও আল্লাহ আমার মাকে শ্রেষ্ঠ উপহারটাই দেবেন। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ আমার এই প্রার্থনা কবুল করবেন! আল্লাহ যেমন সন্তানের জন্য জায়নামাজে ক্রন্দনরত মায়ের প্রার্থনা উপেক্ষা করতে পারেন না, তেমনি মা-হারা সন্তানের কান্নাও আল্লাহ উপেক্ষা করতে পারেন না। আল্লাহ মাকে বেহেশত উপহার দিলে সন্তান অন্তঃপ্রাণ মা তার সন্তানদের ছাড়া কোনোভাবে বেহেশতে যাবেন না। আমি মরে গেলে আমার মায়ের কাছে চলে যাব, সেই আনন্দময় দিনটির প্রতীক্ষাতেই আমি আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে গেলাম!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যে কারনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলন স্থগিত

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে মাত্র এক সপ্তাহের নোটিশে যুক্তরাজ্য বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন

ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাড়ছে চাপ !

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়েবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার শ্রমিক নেবে সৌদি আরব

চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩ হাজারবিস্তারিত পড়ুন

  • প্রবাসী গৃহকর্মীদের জন্য নীতিমালা সহজ করল সৌদি আরব
  • বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের!
  • সবচেয়ে কম খরচে কম সময়ে পান কানাডার নাগরিকত্ব
  • মধ্যপ্রাচ্যে নানামূখী প্রতিকূলতার মুখোমুখি বাংলাদেশ
  • মালদ্বীপে কী করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা?
  • কানাডায় সাংবাদিক; অভিনয়, মডেল ও সংগীত শিল্পী; প্রযোজক, পরিচালক ও খেলোয়াড়দের দারুন সুযোগ!
  • তিন মাস শ্রমিকদের দুপুরে কাজ করাবে না সৌদি সরকার
  • সিনেট কমিটি গুরুত্ব দিচ্ছে জয়ের অভিযোগকে
  • পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী ভিসা মাত্র ১২ মাসে
  • প্রবাসীদের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য মিলবে অনলাইনে
  • সৌদিতে শ্রম বেচাকেনার ফাঁদে ওরা ৩১১ বাংলাদেশি
  • নতুন ও সহজে নিয়মে AUSTRALIA মাইগ্রেশন এর বিপুল সুযোগ