এক রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত
রাজধানী ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় এক রাতে পুলিশের সঙ্গে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় এবং অপর দুজন কুষ্টিয়ার সদর ও ভেড়ামারায় উপজেলায় নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ভোরের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে বলে আজ বুধবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশের মাঠে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও শার্ট। দুজনের বয়স ৪০ ও ৪৫ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুটি পিস্তল ও একটি লোহার টুকরা জব্দ করা হয়। নিহত দুজনের লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোমিনুর রহমান। তিনি জানান, ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় অজ্ঞাতপরিচয় দুই ছিনতাইকারী।
ডিবি (পশ্চিম) পল্লবী জোনাল টিমের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহাদত হোসেন জানান, রূপনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশের মাঠে প্রাইভেটকার নিয়ে ছিনতাইকারীরা অবস্থান নিয়েছে বলে তাঁদের কাছে খবর আসে। সেই খবরের ভিত্তিতে ডিবি ঘটনাস্থলে গেলে প্রাইভেটকারে অবস্থানরত চার ছিনতাইকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ছিনতাইকারীদের গুলিতেই আহত হয় দুই ছিনতাইকারী। বাকি দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, পুলিশ আহত দুই ছিনতাইকারীকে ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ পিনু জানিয়েছেন, সদর উপজেলার বাড়াদী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত’ নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও গুলি। এ সময় নিজেদের সাত সদস্য আহত হয়েছে বলেও দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) ওবাইদুল্লাহ দাবি করেন, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশ কুখ্যাত ডাকাত সোবহান আলীকে (৩৭) নিয়ে অভিযানে যায়। সদর উপজেলার বাড়াদী গোরস্তানপাড়ায় গেলে সেখানে ওত পেতে থাকা ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সোবহান পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সোবহান মারা যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি শাটারগান, গুলি ও একটি কুড়াল উদ্ধার করে।
সোবহান কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে বলেও দাবি করে পুলিশ।
অন্যদিকে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন খন্দকার দাবি করেন, কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে।
‘বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ডাকাত নিহত হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি শাটারগান, একটি গুলি ও দুটা ধারালো রামদা।’
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেলগেটে ট্রেনে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল,বিস্তারিত পড়ুন
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বার সভাপতির শপথ নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুববিস্তারিত পড়ুন
টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন