ট্টগ্রামের রাউজানে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া লেগে মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইয়াছিন আশরাফ জুলু (১৩)।

পনেরদিন লাইফ সার্পোটে থাকার পর শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ডেলটা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

আহত জুলু উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের উণসত্তর পাড়া গ্রামের আবুধাবী প্রবাসী মোহররম আলীর ছেলে। সে গশ্চি ইউনিয়নের তার নানা মোহাম্মদ জামা তালুকদারে বাড়িতে থেকে গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।

নিহত ছাত্রের খালাতো ভাই মোহাম্মদ হাসান মুরাদ বলেন, জুলু নগরীর ডেলটা হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে থাকা অবস্থায় ৭টার দিকে মারা যায়।

তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল বাড়ির ছেলেরা মিলে ক্রিকেট খেলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ঝগড়া লাগে। এতে জুলুর আক্রমণে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার মেম্বারের ভাতিজা ইমন ও বাবলু নামের দুই ভাই আহত হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে একইদিন সন্ধ্যায় জুলুকে একা পেয়ে আটকায় বাবলু ও ইমন। দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বাবলু জুলুকে আটকে ধরে আরেক ভাই ইমন স্ট্যাম্প দিয়ে জুলুর মাথায় ও সারা শরীরে আঘাত করে। এতে মাথায় ও সারা শরীরে প্রচ- আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয় জুলু। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নগরীর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে পনের দিন লাইফ সাপোর্টে আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, শুনেছি লাইফ সার্পোটে থাকা ছেলেটি কে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে মারা গেছে কিনা তা সঠিক বলতে পারছি না।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়–য়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আহত স্কুলছাত্রটার বাবার সাথে কথা বলেছি শনিবার সন্ধ্যায় ছেলেটা মারা গেছে।