খুলনায় যৌতুকের দাবিতে সেলিনা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান ওই গৃহবধূ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আব্দুস সবুর শেখ পলাতক রয়েছে।

নিহতের ভাই ওলিয়ার রহমান জানান, ছয় বছর আগে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি ইউনিয়নের সুরখালি গ্রামের আব্দুর রহিম মালির মেয়ে সেলিনা খাতুনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের রকিব উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সবুর শেখের বিয়ে হয়। গত তিন বছর আগে তাদের ঘরে নাঈম নামের একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

এরপর থেকে তার দুলাভাই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। ইতোমধ্যে তাকে নছিমন কিনে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরও একটা আলমসাধু কিনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে আমার বোন রাজি না হওয়ায় গত বুধবার সকালে আব্দুস সবুর শেখ তার রায়পুরস্থ বাড়িতেতাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার তলপেটে আঘাত করলে নাড়ি-ভুড়ি ফেটে যায়।

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। শুক্রবার ভোরে সেলিনার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যায়।

তিনি জানান, একমাত্র বোনকে হারিয়ে আমরা এখন পাগল প্রায়। আমার আব্বা-আম্মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।

বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক মামুন জানান, শুনেছি সেলিনা নামের এক গৃহবধূ মারা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ওলিয়ার রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার জন্য থানায় এসেছে।