গৌরনদীর শতবর্ষী স্কুল-কলেজে নেই শহীদ মিনার
আরিফিন রিয়াদ (নিজস্ব সংবাদদাতা)
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের নিজ উপজেলা বরিশালের গৌরনদীর শতবর্ষী কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাপানিয়া-শরিফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জঙ্গলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার।একইভাবে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নিজ নামের ইউনিয়নের (জাহাঙ্গীর নগর) আগরপুর ডিগ্রী কলেজেও নেই কোন শহীদ মিনার। শুরু থেকে অদ্যবর্ধি ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে কোন শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। ফলে দেশ ও একুশের চেতনাবঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে কোনো আগ্রহ নেই। প্রতিবছর অন্যান্য ছুটিরদিনের মতোই তারা (শিক্ষক) কাটিয়ে দেন গৌরবের এ দিনটিকে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আগরপুর ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে গত চার বছর পূর্বে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য স্থানীয় এক সমাজ সেবক নগদ অনুদান প্রদান করলেও অদ্যবর্ধি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ সৌন্দর্য বৃদ্ধির নামে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে ফুলের বাগান তৈরি করেছেন। প্রতিবছর ওই কলেজে অস্থায়ীভাবে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলেও এবছর কাঠ দিয়ে একইভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছে। যা শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরের পর পরই ভেঙ্গে ফেলা হয়। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে গৌরনদী কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নির্মিত হয়নি কোন শহীদ মিনার।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী স্কুলের সম্পত্তি স্থানীয় এক ব্যক্তি দখল করে রাখায় স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যাচ্ছেনা।কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেরাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাপানিয়া-শরিফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঘার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জঙ্গলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা বিভাগ শহীদ মিনার নির্মাণের আদেশ দিলেও শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারি ভাবে বাজেট না থাকায় আদেশ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস কী, এটি কীভাবে পালন করতে হয় তা সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। এমনকি তারা কখনও শহীদ মিনারে ফুলও দিতে পারেনি।
ক্ষোভের সাথে শিক্ষার্থীরা জানায়, টিভিতে দেখি একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয়। আমাদের স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় আমরা ফুল দিতে পারিনা।
অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে স্কুলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দাবীতে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।একইভাবে শিক্ষার্থীরা ’৫২-র ভাষা আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব সম্পর্কেও সঠিক ধারণা নিতে পারছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাজেকে ডাম্প ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে শিজকছড়া-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রিবিস্তারিত পড়ুন
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ারবিস্তারিত পড়ুন
ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেলগেটে ট্রেনে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল,বিস্তারিত পড়ুন