শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যার এক মাসেও অধরা ঘাতকরা

সিলেটে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনে ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজু হত্যাকাণ্ডের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু নির্মম এই হত্যার এক মাসেও ধরা পড়েনি মূল হোতারা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফায়াজ উদ্দিন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

কিন্তু আটক তিন আসামিকে ১১ দিন রিমান্ডে নিয়েও তেমন কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। আসামিদের কেউ কেউ নগরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ফয়জুল হক রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ২৫ জনের নামোল্লেখ করে নিহতের চাচা যুবলীগ নেতা মো. দবির আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আলোচিত ছাত্রদল ক্যাডার আব্দুর রকিব চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার ওরফে হাজী দিনার, ছাত্রদল নেতা এনামুল হক, একরামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ নয়ন, সলিড, ফরহাদ, সাদ্দাম, মুহিবুর রহমান খান রাসেল, রাসেল ওরফে কালা রাসেল, আরাফাত, মোফাজ্জল চৌধুরী মুর্শেদ, আলফু মিয়া, শাহীন, সুফিয়ান, নজরুল ইসলাম জুনিয়র নজরুল, তোহা, আফজল, সাহেদ, রুবেল মিয়া, মামুন ও জুমেলের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে ছাত্রদল নেতা আব্দুর রকিব, দিনারসহ ৮ জনকে উল্লেখ করা হলেও এদের কারো হদিস পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসামিদের সকলেই ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ঘটনার পর এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে নগর থেকে আলফু ও রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দু’জনকে ৪ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা থেকে এজাহারভুক্ত আরেক আসামি সাদ্দামকে গ্রেফতার করে সিলেটে নিয়ে আসা হয়। পরে সাদ্দামকেও নেয়া হয় ৩ দিনের রিমান্ডে। ৩ আসামিকে ১১ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফায়াজ উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শুধুমাত্র সাদ্দাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করলেও তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তাকে আবারো রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে নিহত রাজুর সুরতহাল প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কতটা নির্দয় ও নির্মমভাবে ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছিল। কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া সুরতহাল প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেন।

এতে বলা হয়, রাজুর মাথার উপরে ২টা, পেছনে ও ডান পাশে ৭টা, কপালের ডানপাশে ১টা ও থুথনিতে ২টা আঘাত রয়েছে। ডান কানের লতি কাটা। বুকের ডান পাশে ১টি ছিদ্র, বুকের মাঝখানে ১টি, ডানপাশে ১টি, বাম কাঁধে ১টি, ডান হাতের বাহু হতে কবজি পর্যন্ত ১২টি, বুক ও পেটের ডানপাশে ১০টি, পিটের ওপরে ও ডান পায়ের হাঁটুতে আঘাত রয়েছে। ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীসহ ৪টি আঙ্গুল কাটা। শরীরে মোট ৪৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফয়জুল হক রাজু তার চাচা দবির আলীর উপশহরের বাসায় থেকে সিলেট ল’ কলেজে পড়ালেখা করতেন। তিনি ল’ প্রথম বর্ষের পরীক্ষায়ও অংশ নেন। রাজু মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক।

সম্প্রতি পড়ালেখায় মনোনিবেশ করায় ছাত্র রাজনীতি থেকে সরে আসেন তিনি। এর ফলে আসামিদের কয়েকজনের সঙ্গে রাজুর মনোমালিন্য শুরু হয়। এর জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে রাজুকে খুন করা হয় বলে নিহতের পরিবার জানিয়েছেন।

তবে ছাত্রদলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চলমান বিরোধের জেরেই প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে খুন হন রাজু।

নিহতের পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি বাসায় সি.সি. ক্যামেরা থাকায় হত্যাকাণ্ডের পুরো দৃশ্যটি এতে রেকর্ড হয়। সি.সি. ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ফুটেজে হত্যার দৃশ্য স্পষ্ট রেকর্ড হয় বলে সূত্রটি জানায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থার কয়েকজন সদস্য সি.সি. ক্যামেরার ওই ফুটেজটি নিয়ে যান। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফুটেজটি দেখিয়ে কয়েক আসামির ব্যাপারে নিশ্চিতও হন ওই সংস্থার সদস্যরা।

তবে পুলিশ বলেছে, সি.সি ক্যামেরার বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ফয়জুল হক রাজু। ৩ ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাজু ছিলেন সবার বড়।

বড় সন্তান হওয়ায় পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারের সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করতেন রাজু। রাজুকে হারিয়ে এখনো পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম।

রাজু হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের চাচা যুবলীগ নেতা মো. দবির আলী বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক আমরা রাজুর খুনিদের বিচার চাই। এভাবে যেন আর কারো ছেলে খুন না হয়। তিনি রকিবসহ ঘাতকদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায় সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখবিস্তারিত পড়ুন

শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরেবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি

বিএনপিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩ নেতার পদে রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবারবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
  • গুরুতর আহত মমতা, হাসপাতালে ভর্তি
  • সুপ্রিম কোর্টে মারামারি ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন: হট্টগোল-মারামারিতে ভোট গণনা বন্ধ
  • সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
  • ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়’
  • ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ ও স্টিয়ারিং কমিটিতে আছেন যারা
  • লুটেপুটে খায় এমন প্রার্থীদের বর্জন করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’