শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

জেলা পরিষদ নির্বাচন: বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে না আওয়ামী লীগ।

সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশনে যাবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনে ৩০ জেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এর মধ্যে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে ১৩ জেলা পরিষদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। গত বুধবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যেই অনেকেই আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে। তবে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের কেন্দ্র করে জেলায়-জেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশনে যাবে না ক্ষমতাসীন দলটি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও আনা হবে না। ক্ষমতাসীন দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন দলীয়ভাবে হলেও ব্যতিক্রম ছিল জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি, কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে যাছাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগ ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের সমর্থনে সন্তুষ্ট করতে পারেনি আওয়ামী লীগের জেলা নেতাদের। অন্তত ৪০টি জেলায় স্বতন্ত্রের নামে প্রার্থী হয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বাইরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনও প্রার্থী না থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবার কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গেলে সব জেলায়ই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। তাই বিদ্রোহী দমনে কোনও অ্যাকশনে যায়নি ক্ষমতাসীন দলটি।

জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগ প্রত্যেক জেলা থেকে প্রার্থী তালিকা সংগ্রহ করে। জেলা থেকে পাঠানো প্রার্থী তালিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড কয়েকটি বৈঠকে মিলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব বৈঠকে জেলা থেকে পাঠানো প্রার্থীতালিকা চুলচেরা বিশ্লেষণ শেষে ৬১ জেলায় প্রার্থী মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। গত ২৫ নভেম্বর গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৬১ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এরপর ২১ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলটি ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দল অংশ না নিলেও পাবনা, জামালপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে বিরোধ চরমে ওঠে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা সেসব জেলা সফরেও যান। কিন্তু তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের দমন করতে পারেননি। জামালপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মির্জা আজমের অনুসারী প্রার্থীর কাছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এটা তো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নয়। তাই এখানে কেউ ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগের কিছু করার থাকে না। দলীয়ভাবে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ওপর এর দায় আসে।’ তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা কেবল একজন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছি। সেখানে আরেক জন প্রার্থী নির্বাচন করলে আমরা তো তাকে বসিয়ে দিতে পারি না। জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়পূর্ণ হোক তা চেয়েছে আওয়ামী লীগ। ’

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে একজন প্রার্থীকে। সেখানে আরেকজন দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ কি তাকে বসিয়ে দিতে পারে? নির্বাচন করার অধিকার তো সবার আছে। এছাড়া এই নির্বাচন যেহেতু দলীয়ভাবে হয়নি, সেহেতু আমরা বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়টি আমলে নেইনি।’ তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। আমরা চেয়েছি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে ঠিকই অনেক জেলায় উন্মুক্তও করে দেওয়া হয়েছে।’ খবরঃ বাংলা ট্রিবিউন

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনকে আমরা নির্দলীয় নির্বাচন হিসেবেই দেখছি। কতটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে মুখ্য।’ তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে যদি শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো কোনও ঘটনা ঘটে, সেটা আমরা পরবর্তী সময়ে দেখব।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখবিস্তারিত পড়ুন

শ্রমিক অধিকার নিয়ে নালিশের নিষ্পত্তি নভেম্বরে: আইনমন্ত্রী 

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বরেবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপির কেন্দ্রীয় ৩ নেতার পদোন্নতি

বিএনপিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩ নেতার পদে রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবারবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপি মানে খাইখাই, আ.লীগ মানেই দেই-দেই: প্রধানমন্ত্রী
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
  • গুরুতর আহত মমতা, হাসপাতালে ভর্তি
  • সুপ্রিম কোর্টে মারামারি ঘটনায় ৩ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন: হট্টগোল-মারামারিতে ভোট গণনা বন্ধ
  • সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
  • ‘নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়’
  • ঐক্যফ্রন্টের লিয়াজোঁ ও স্টিয়ারিং কমিটিতে আছেন যারা
  • লুটেপুটে খায় এমন প্রার্থীদের বর্জন করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’