টাইটানিকে বসে লেখা চিঠিগুলোর মধ্যে সবশেষ চিঠিটি নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। ১৯১২ সালে ব্রিটিশ জাহাজটি ডুবে যাবার আগে লেখা ওই চিঠিটি ১২৬ হাজার ডলারে বিক্রি হয়।

টাইটানিকের নোট পেপারে লেখা একমাত্র ওই চিঠিটি উত্তর আটলান্টিকের পানিতে ডুবে থাকলেও ভালো অবস্থাতেই ছিল। ব্রিটিশ এক নাগরিক টেলিফোনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিয়ে ওই চিঠিটি কিনে নেন।

নিলামদার অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ জানিয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্রিটিশ ক্রেতা ইতিহাসের অভিনব সব জিনিস সংগ্রহে রাখেন।

১৩ এপ্রিল ১৯১২ অর্থাৎ জাহাজটি ডুবে যাবার আগের দিন, টাইটানিকের যাত্রী মার্কিন ব্যবসায়ী অস্কার হলভারসন ওই চিঠিটি লিখেছিলেন তার মাকে। হলভারসন ও তার স্ত্রী ম্যারি নিউইয়র্কের উদ্দেশে সাউদাম্পটন থেকে টাইটানিকে উঠেছিলেন।

মায়ের কাছে লেখা হলভারসনের চিঠিতে ছিল টাইটানিক ও এর যাত্রীদের কিছু বর্ণনা। তিনি লিখেছেন, “জাহাজটা বিশাল বড় এবং দেখতে রাজকীয় হোটেলের মতো। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জন জ্যাকব অ্যাস্টর ও তার স্ত্রীও রয়েছে আমাদের সাথে। কোটি কোটি টাকা থাকলেও তিনি দেখতে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই। ডেকের বাইরে তিনি আমাদের সঙ্গে বসে আছেন”।

টাইটানিক ডুবে যাবার ফলে যে পনেরোশো মানুষের মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে ছিলেন হলভারসন, জেজে অ্যাস্টর এবং তার স্ত্রী। তবে ম্যারি হলভারসন বেঁচে গিয়েছিলেন। অস্কার হলভারসনের মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার পকেটে চিঠিটা পাওয়া যায়। চিঠিটার মধ্যে এখনও সাগর ও পানির চিহ্ন রয়েছে।

হলভারসনের ওই চিঠি তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। নিলামদার অ্যালড্রিজ বলছেন “সম্ভবত এটাই জাহাজের কোনো যাত্রীর লেখা একমাত্র চিঠি যেটা তার মৃত্যুর কারণে পোস্ট না করা হলেও প্রেরকের কাছে পৌঁছেছে”।