শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

দুই ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান শাহজাহানও, নিহত তিন ভাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন না।

জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার তাগিদে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কংক্রিটের নগরীতে আসেন তিন ভাই সারোয়ার হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস ও শাহজাহান। স্বপ্ন ছিল বিশাল, তাই কাজও নেন উঁচু ভবন নির্মাণের শ্রমিক হিসেবে। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। তাই তিন ভাইকেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে একসঙ্গে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর বাড্ডায় একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যে তিন নির্মাণ শ্রমিক মারা যান এরাই সেই তিন ভাই।

নির্মাণাধীন ভবনটির লিফট মেরামত করতে গিয়ে ১০ তলার উপর থেকে পড়ে যান দুই ভাই সারোয়ার হোসেন (২৮) ও আব্দুল কুদ্দুস (২৬)। তাদের বাঁচাতে গিয়ে অপর ভাই শাহজাহানও নিচে পড়ে মারা যান। তাদের নিথর মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। গর্ভবতী স্ত্রী জানেন না স্বামী শাহজাহান বেঁচে নেই।

নিহত তিনজনের মধ্যে দুই সহোদর- শাহজাহান মিয়া (২৮), সারোয়ার হোসেন (২৫)। আর তাদের আপন চাচাতো ভাই আব্দুল কুদ্দুস (২৬)।

এছাড়া একই ঘটনায় সারোয়ার হোসেন (২৫) নামেরই আরেক শ্রমিক আহত হন। তাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামে। শাহজাহান ও সারোয়ারের বাবার নাম মিজানুর রহমান। আর কুদ্দুসের বাবার নাম আতাবুর রহমান। তারা উত্তর বাড্ডার জি এম বাড়ি বাবুল্লা পাড়ায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। রাজধানীর উত্তর বাড্ডা বায়ালিয়াপাড়ায় ছিল তাদের বসবাস।

পরিবারের দাবি, একই সাথে একই পরিবারের তিনজন ভবনের উপর থেকে পড়ে মারা যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। তাদের পড়ে যাওয়ার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে দাবি তাদের।

শাহজাহানের ভাই তরিকুল ইসলাম জানান, ১১ তলা ভবনের ১০ তলায় লিফটের ফাঁকা জায়গায় দেয়ালে প্লাস্টারের কাজ করছিলেন তিন জন। সারোয়ার ও কুদ্দুস বাঁশ-কাঠ ভেঙে নিচে পড়ে যেতে লাগলে তাদের ধরার চেষ্টা করেন শাহজাহান। কিন্তু তিনজনই পড়ে যান। প্রথম দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহতাবস্থায় শাহজাহানকে ঢামেকে নিয়ে এলে তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বাড্ডা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সারোয়ার ও কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মর্গে নেয়া হয় শাহজাহানের মরদেহও।

নিহত তিনজনের দুলাভাই আজিজুল ইসলাম বলেন, ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে তাদের ঢাকায় আসা। কিন্তু এভাবে এই বয়সে তিন ভাইয়ের এক সাথে মৃত্যুবরণ কেউ মানতে পারছেন না। সারওয়ার ভাইয়ের বউ গর্ভবতী। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি জানেন না স্বামী বেঁচে নেই।

তিনি বলেন, নিহত তিন ভাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন না। ২ জন ছিলেন মিস্ত্রি আর একজন ছিলেন শ্রমিক। শ্রমিক ও মিস্ত্রি এক সাথে কাজ করেন না। তাহলে তারা কিভাবে পড়ে গেছেন? এ প্রশ্নের উত্তর চাই। তাছাড়া এখনও ভবনের মালিকপক্ষের কেউ আমাদের সাথে সাক্ষাত করেননি। কোনো ধরনের সহযোগিতাও করেননি। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক ও সন্দেহের।

এ ব্যাপারে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী