দুই হাতে লেখে যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা !
জন্মগতভাবেই মানুষ দুই হাতে সমান শক্তি ধারণ করে না। ফলে লেখালেখি বা যে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে মানুষ তার এক হাত অন্য হাতে চেয়ে একটু বেশি ব্যবহার করে। তবে কিছু মানুষ রয়েছে যারা জন্মগতভাবে উভয় হাতেই সমান শক্তি ধারণ করে। এদের ‘সব্যসাচী’ বলা হয়। খুব বেশিসংখ্যক মানুষ যে সব্যসাচী হয় তা কিন্তু নয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সমগ্র মানবগোষ্ঠীর মাত্র এক শতাংশ মানুষ উভয় হাতে লিখতে বা যে কোনো কাজ করতে পারদর্শী হয়।
তবে ভারতের বীণা বন্দিনি বিদ্যালয়ে গেলে আপনার এই ধারণার পরিবর্তন হতে বাধ্য। কারণ মধ্যপ্রদেশের এই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী উভয় হাতে সমানভাবে লিখতে পারদর্শী।
একেবারে জন্মগতভাবেই যে এই স্কুলের সকল শিক্ষার্থী সব্যসাচী তা কিন্তু নয়। এদের নার্সারি থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব্যসাচী করে গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই কঠিন কাজটি যার একান্ত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ভিপি শর্মা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক এই সৈনিক অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৯ সালে নিজ গ্রামে একটি স্কুল গড়ে তোলেন। প্রথম থেকেই তিনি স্কুলের সকল শিক্ষার্থী যেন উভয় হাতে লিখতে পারদর্শী হয় সে বিষয়ের উপর জোর দেন। ফলে স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন প্রতি ক্লাসের ফাঁকে অন্তত পনেরো মিনিট উভয় হাতে লেখার চর্চা করতে হয়।
এভাবে চর্চার ফলে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীই নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন উভয় হাতে লেখার কৌশল অর্জন করে ফেলে। কিন্তু কেন এই অভিনব উদ্যোগ? স্থানীয় এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিপি শর্মা বলেন, ‘একটি ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ সব্যসাচী ছিলেন। তিনি উভয় হাতে সমান পারদর্শী ছিলেন। মূলত এই বিষয়টি জানার পর আমি স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের উভয় হাতে লেখা শেখার উপর জোর দিই।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রীদের মধ্যে হিনা খানের সাজপোশাক নিয়ে চর্চা লেগেইবিস্তারিত পড়ুন
কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
আমার বাবা ভিক্ষা করতো, মা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সংসারে খুববিস্তারিত পড়ুন
অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ফুলানিরসিট। সেবিস্তারিত পড়ুন