মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

দেখুন একজন মুঘল বেগমকে এখন কী করতে হয়!

তাঁদের বংশ একসময় অধীশ্বর ছিল প্রায় অর্ধেক এশিয়ার। রত্নখচিত ময়ূর সিংহাসনে বসে তাঁরা শাসন করতেন সুবিশাল রাজত্ব। এন্তেকাল হলে তাঁদের জন্য তৈরি হতো শ্বেতমর্মর তাজমহল। তাঁরা মুঘল। জানেন তাঁদের বংশধররা কী অবস্থায় আছেন?

বলাই বাহুল্য ৩০০ বছর ধরে শাসনের পরে তাঁদের সাম্রাজ্যের পতন হলে ভারতজুড়ে আত্মগোপন করে‚ ছত্রখান হয়ে যায় মুঘল বংশ। শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর সিংহাসনে বসেছিলেন ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের হাতে অস্ত যায় সিপাহি বিদ্রোহ। সিংহাসনচ্যুত মুঘল সম্রাটের জায়্গা হয় দিল্লির জাফর মহল।

তখনও ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি কী করবে তাঁকে নিয়ে। শেষে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয় রেঙ্গুনে। শেষ মুঘল সম্রাটের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক স্ত্রী জিনাত মহল এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্য। সেখানে পাঁচ বছর কাটাবার পরে ৮৭ বছর বয়সে প্রয়াত হন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর‚ ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে। স্ত্রী জিনাতের মৃত্যু হয় ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে। রেঙ্গুনে ১৯৯১ সালে এক নির্মাণকাজের সময়ে আবিষ্কৃত হয় তাঁদের সমাধি। সঙ্গে তাঁদের এক নাতনির সমাধিও।

যাই হোক‚ শেষ মুঘল সম্রাট তো চলে গেলেন নির্বাসনে। ভারতবর্ষে ছাড়িয়ে পড়ল তাঁর উত্তরসূরীরা। শোনা যায়‚ কলকাতায় চলে গেছিলেন প্রায় ৭০ জন মুঘল বংশীয় উত্তরসূরী। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছে তিনি হলেন সুলতানা বেগম।

সুলতানার দাবি‚ তিনি মুঘল বেগম। শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের নাতির পুত্রবধূ। অর্থাৎ সুলতানার শ্বশুরমশাইয়ের ঠাকুরদা ছিলেন নির্বাসিত শেষ মুঘল সম্রাট। প্রমাণ হিসেবে রয়েছে কিছু পারিবারিক নথি ও ছবি।

সেসব এখন শুধু ইতিহাস নয়‚ বলা ভাল এই পরিবারের কাছে প্রাগৈতিহাসিক। মুঘল উত্তরসূরী সুলতানার বাস এখন হাওড়ার এক বস্তিতে। দু কামরায় কোনওমতে দিন গুজরান। পাঁচে মেয়ের মধ্যে একজনের এখনও বিয়ে হয়নি। আছে এক ছেলে ও তাঁর পরিবার।

সুলতানার স্বামী প্রিন্স মির্জা বিদার বখত প্রয়াত হন ১৯৮০ সালে। তারপর থেকে আরও তীব্র হয়েছে অনটন। চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারের ডালভাত জোগাড় করতেন সুলতানা। সে দোকান উঠে গেছে। এখন দর্জির কাজ করে মহিলাদের পোশাক বানিয়ে কোনওমতে চলে সংসার। আর ভরসা সবেধন নীলমণি মাসে সামান্য কয়েক হাজার টাকা সরকারি পেনশন।

তাঁর শ্বশুরকূলের উত্তরসূরীরা বানিয়েছিলেন ফতেপুর সিক্রি। তাঁদের হাতেই মাথা তুলেছিল লাল কেল্লা। সেই বংশের বেগম সুলতানা ওসব কোনওদিন দেখেনওনি। তাঁর জগত বলতে বস্তির ঘিঞ্জি অন্ধকার দুটো ঘর। বস্তির বাকি বৌদের সঙ্গে একটাই রান্নাঘরে খুন্তি নাড়া। রাস্তার টাইমকলে কাপড় কাচা আর বাসন মাজা।

এভাবেই আছেন বাবর-হুমায়ুন-আকবর-জাহাঙ্গীর-শাহ্জাহান-ঔরঙ্গজেবের বংশধররা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী