নোয়াখালীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ
দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ করার জের ধরে সেনবাগ উপজেলা ছাত্তারপাইয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিতসহ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে ধর্ষকরা।
বুধবার রাত ৯টায় একই ইউপির ছাতার পাইয়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের বাড়িতে তার ছেলে ধর্ষক সুমন, তার অনুগত আবুল বাশার, আলমগীর হোসেন পাপ্পু, মিজানসহ ৫-৬ জন ভিকটিমকে পাশের সোনাইমুড়ী উপজেলার নদোনা ইউপির কালু আই গ্রাম থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে এ ঘটনা ঘটায়।
আহত ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমানকে রাতেই নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কালু আই গ্রামের হতদরিদ্রের ভিকটিম স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
১০ দিন আগ থেকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার মোল্লাবাড়ির জাবেদের ছেলে দিপু ও পাশের রাজা মিয়ার বাড়ির বাসু মিয়ার ছেলে রুপক ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে। ভিকটিম এ ব্যাপারটি তার পিতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বসতঘরে ঢুকে ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুমনের বাড়িতে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এসে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানকে এ ঘটনা জানায়। চেয়ারম্যান আবদুর রহমানসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধর্ষণের প্রতিবাদ করে থানায় সংবাদ দেয়। এতে ধষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করে এবং ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী ধর্ষিতাকে চৌমুহনী ক্লিনিকে ভর্তি করা করেছে। ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় ওই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এদিকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি ইসমাইল মিয়া যুগান্তরকে জানান, নদোনা ইউনিয়নের কালু আই গ্রামের ধর্ষিতার ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন
নোয়াখালীতে মাজারের খাদেমকে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় সোনা মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ওবিস্তারিত পড়ুন
ঘটনাটি ছোট বোন ও ভাই ছাড়া আর কেউ জানতনাঃ নোয়াখালীতে নির্যাতন শেষে স্ত্রীকে তালাক নোটিশ
আশ্রাফুল তানজিল, নোয়াখালী : নোয়াখালী সদর উপজেলার মহব্বতপুর এলাকার নিজবিস্তারিত পড়ুন