পাবনার আটঘরিয়ায় দেহ ব্যবসার অপবাদ দিয়ে এক নারীর চুল কেটে ও জুতাপেটা করে নির্যাতনের ঘটনায় আজিজুল হক (৪৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কদমডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজুল ওই এলাকার মৃত শমসের আলীর ছেলে ও চাঁদভা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এর আগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্য এজাহার নামীয় আসামী। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে তাকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন পার্শ্ববর্তী উপজেলা চাটমোহরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার দুই মামাতো দেবর সেলিম হোসেন ও সাব্বির হোসেন। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। রাতের খাবার পর ঘরের এক পাশে দুইজনকে শোবার ব্যবস্থা করে একই ঘরের অপর পাশে ৭ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ঘুমাতে যান ওই নারী।

পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে একই এলাকার গ্রাম্য মাতুব্বর আলহাজ্ব নজিম প্রামানিক, মাসুদ রানা ও সোবাহানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক লাঠিশোঠা হাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। ওই নারী দরজা খুলে দিলে আগতরা দেহ ব্যবসার মিথ্যে অভিযোগ তুলে ওই নারীসহ তার দুই দেবরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জুতাপেটা করে। পরে ভোররাতে কথিত শালিস বৈঠক বসিয়ে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে চুল কেটে দেয়া হয় ওই নারীর।

খবর পেয়ে পরে ওই নারীর স্বামী বাড়ি ফিরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আটঘরিয়া হাসপাতালে ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী ১২ জুন সোমবার আটঘরিয়া থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।