শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পিঠার ধোঁয়ায় শীতের হাওয়া

শীত আসছে। প্রকৃতি অন্তত সেই বার্তাটা জানান দিতে শুরু করেছে। শীত মানেই তো পিঠা-পুলির দিন। পিঠার ঘ্রাণে ম-ম করবে চারদিক। এমন কিছু ভাবনাই তো বাঙালির মানসপটে জায়গা করে নেয়। হেমন্তের হালকা শীতল আমেজ নিয়ে আসা বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় এখন পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়।  শীতের আগমনীবার্তা পেয়েই জমে উঠেছে রাস্তার পাশে পিঠা বেচাকেনার দোকানগুলো।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসছে বিক্রেতারা। অনেকে আবার পেশা পরিবর্তন করেও বসছে পিঠা বিক্রির দোকান নিয়ে। বেচাকেনাও বেশ ভালোই।

চলতি পথে থেমে কেউ বা আড্ডায় বসেই সন্ধ্যার নাশতাটা সেরে নিচ্ছেন গরম গরম ভাপা পিঠা কিংবা চিতোই পিঠা দিয়ে। বিক্রেতাদের সঙ্গেও আলাপ করে জানা গেল, বেচা-বিক্রি বেশ ভালোই। তাই তো অনেকেই এই শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রিকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে।

শাহবাগ মোড় পেরিয়ে  টিএসসি পর্যন্ত আসতেই পথে চোখে পড়বে অন্তত সাত-আটটি পিঠার দোকান। বেশির ভাগ বিক্রেতাই ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন।

টিএসসির মোড়ে কথা হয় পিঠা বিক্রেতা আলাউদ্দিনের সঙ্গে। আলাউদ্দিন আগে চটপটি বিক্রি করতেন। এখন পিঠা বিক্রি করছেন। ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে তিনি বসছেন ভাপা পিঠা নিয়ে। শীতের সময়টাতে তিনি ভাপা পিঠাই বিক্রি করবেন।

আলাউদ্দিন বলেন, ‘শীতের সময় ভাপা পিঠাই বিক্রি করি। প্রতিটা পিঠা ১০ টাকা। সবাই বেশ পছন্দ করে এই সময় ভাপা পিঠা।’

আরেক বিক্রেতা কালু মিয়া জানালেন, প্রতিদিন গড়ে ২০০ ভাপা পিঠা বিক্রি করেন তিনি। গরমের সময় শরবত বিক্রি করতেন। এখন পিঠা বিক্রি করেন। বলেন, ‘ …ধরেন যখন শীত বাড়ে তখন বিক্রি বেশি হয়। শীতে তো সবাই পিঠা খাইতে চায়। গরম গরম ভাপা পিঠা শীতের সময় বেশি চলে।’

কথা বলতে বলতেই কালু মিয়া চুলা থেকে গরম পিঠা নামাচ্ছেন। ধোঁয়া ওঠা পিঠা কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। কালু মিয়ার দোকানে বসেই কথা হয় আরাফাতের সঙ্গে। আরাফাত এসেছিলেন পিঠা খেতে। কথায় কথায় এই যুবক জানান, এখন সন্ধ্যার নাশতাটা পিঠা দিয়েই করেন তিনি।

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা একদল তরুণ-তরুণী পিঠা খাচ্ছিলেন। কথায় কথায় তাঁদের মধ্যে শাকিল নামে এক তরুণ বলেন, ‘শীতে চুলার পাশে বসে পিঠা খাওয়ার যে ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, নগর জীবনে তার দেখা মিলবে কই? তবু এরা আছে বলে একটু পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়।’

বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিকেল থেকে শুরু হয় বিক্রি। সন্ধ্যার দিকে বেচাবিক্রির চাপ বেশি থাকে। রাত ৯টা পর্যন্তই মূলত বিক্রি বেশি হয়। বিক্রির সময় এলাকাভিত্তিক একেক রকম। যেখানে মানুষের উপস্থিতি বেশি সেখানে বেশি সময় পর্যন্ত বিক্রি হয়।

চুলার অল্প আঁচে ধোঁয়া উড়ছে। গরম গরম ভাপা পিঠা নামছে চুলা থেকে। ক্রেতারা এসে সারিবদ্ধ হয়ে পিঠা কিনছেন। কেউ নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন।

অনেক বিক্রেতা ভাপা পিঠার সঙ্গে চিতোই পিঠা বিক্রি করছেন নানা রকম ভর্তা দিয়ে। শীতের আমেজ আসতে না আসতেই নগরজীবনে পিঠার গল্প শুরু হয়ে গেছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান

বায়ুদূষণ বিশ্বজুড়ে এক মহামারি আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার তিনবিস্তারিত পড়ুন

ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে নিম্নমানেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর হাতিরপুলে কাঁচাবাজার সংলগ্ন ‘রাজ কমপ্লেক্স’ ভবনের দ্বিতীয় তলায় লাগাবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
  • রাস্তায় ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার
  • অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল অভিশ্রুতি নাকি বৃষ্টি
  • তিন অপহরণকারী আটক, অপহৃত শিশু উদ্ধার !
  • ধর্ষণ করার আগে ছাত্রীটিকে দল বেঁধে মারধর করল
  • কখনো অঝর ধারায়, কখনো বা থেমে থেমে বৃষ্টি, ভোগান্তি সারাদিন
  • অধরা সিদ্দিকুরের দুর্দশায় দায়ী পুলিশরা
  • রাজধানীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত ২
  • মতিঝিলে জনতা টাওয়ারে আগুন
  • মিরপুর ও আশপাশের এলাকায় আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • এই দুর্ভোগের শেষ কবে?
  • আশুলিয়ায় তুরাগ নদী থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার