শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পুলিশের মিথ্যা মামলার ফাঁদে দিশেহারা মানুষ

পুলিশের মিথ্যা মামলার ফাঁদে এলাকার সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের অত্যাচারে শত শত মানুষ বর্তমানে এলাকা ছাড়া।

শনিবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফাঁড়ি ইনচার্জ মাসুদুর রহমান ও এএসআই শরিফুল ইসলামের দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। গত পাঁচ মাসে ১৪টি মামলায় অন্তত ১৫ জন ছাত্রসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

জহুরপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মমিনুল ইসলাম বলেন, খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদুর রহমান ও এএসআই শরিফুল ইসলাম গত ২২ জানুয়ারি গভীর রাতে বেতালপাড়ার সুরমান মোল্ল্যা ও জহুরপুর গ্রামের শওকত আলীর বাড়িতে যান। এসময় সুরমানের বাড়ির গেট কুড়াল দিয়ে ভাংচুর করে গালিগালাজ করতে থাকে।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সুরমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও শওকত আলীর ছেলে জুয়েলকে ধরে এনে নির্যাতন করে। পরিবারের লোকজন ফাঁড়িতে গেলে তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দেয়ায় ১৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দিয়ে তাদের ফাঁসিয়ে দেয় পুলিশ।

এছাড়া স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে খাজুরা শহীদ সিরাজউদ্দীন হোসেন ডিগ্রি কলেজের অনার্সের ছাত্র মামুনুর রশিদ শিপলুকে নির্যাতন করেছে খাজুরা ফাঁড়ির পুলিশ।

তার বাবা জহুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব আহম্মদ আলী মণ্ডল ও মা ছায়েরা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের ছেলে শিপলু রাজনীতি করে না। অথচ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে অস্ত্র মামলাও রয়েছে।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবু তাহের পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী মন্ডল, নাজিম আল হীরাসহ আরও অনেকের অভিযোগ শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে এজেন্ট হয়েছিলেন, তাদের একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তারা জানান, পুলিশের অত্যাচারে শত শত মানুষ বর্তমানে এলাকা ছাড়া। অবিলম্বে তদন্ত করে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ ও শরিফুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।

জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলু পাটোয়ারী বলেন, ‘ফাঁড়ি ইনচার্জসহ অসৎ পুলিশের অবিলম্বে স্ট্যান্ড রিলিজ না করলে মানুষ ঘুমাতে পারবে না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খাজুরা ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা। কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়নি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শিশুর গলায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামেবিস্তারিত পড়ুন

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে অভিযান

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যশোর পৌর এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ঘিরেবিস্তারিত পড়ুন

শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

যশোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় মহসিন নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রমবিস্তারিত পড়ুন

  • যশোরে ৬ শিক্ষার্থীকে নগ্ন করলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক!
  • যশোরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
  • ‘সন্ধ্যায় পালানো আসামি মধ্যরাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত’
  • যশোরে বজ্রপাতে ভাইবোন নিহত! আহত মা
  • যশোরে অসুস্থ্য হয়ে ১০ ছাত্রী হাসপাতালে, অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
  • বিয়ের নামে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন
  • মায়ের প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে
  • যশোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
  • যশোরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৬ আহত ৩৫
  • যশোরে গুলিতে যুবক নিহত
  • যশোরে নারী হোটেল কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  • আ. লীগ নেতাসহ ১৯ জনের নামে অভিযোগপত্র