বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম: হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝিনাইদহে যুবককের ঘরে মার্কিন তরুণী

ভালোবাসা। এটি শুধু একটি শব্দই নয়। একটি পরিভাষাও। যা দুটি মনের চাওয়া পাওয়া এক করে দেয়। ভালবাসা দু’টি মনে যেমনি এনে দেয় শান্তি, তেমনি এটি যখন প্রতারণায় পরিণত হয়। তখন হয়ে উঠে ভয়াবহ। অনেক সময় মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই ভালোবাসার কারণে অনেকেই সাত সাগার তের নদীও পাড়ি দিতে পারে। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহে।

ভালোবাসার টানে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে ঝিনাইদহের প্রেমিকের কাছে এসেছেন এক মার্কিন তরুণী। ইতোমধ্যেই তাদের বিয়েও হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের পঞ্চানন্দ বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাসের (২২) প্রেমে পড়ে মার্কিন মেয়ে এলিজাবেথ। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তদের এই পরিচয় পরবর্তীতে ভালোবাসায় রুপ নেয়।

গত ২ জানুয়ারি এলিজাবেথ তার ভালবাসাকে বাস্তবে রুপ দিতে বাংলাদেশে পাড়ি দেন। অবশেষে গত কয়েকদিন আগে খ্রিষ্টান ধর্ম মতে তাদের বিয়ে হয়। এখন তারা সংসার জীবন শুরু করেছে, সুখেই কাটছে তাদের বৈবাহিক জীবন।

বাংলাদেশে চলে আসা একুশ বছরের মার্কিন নাগরিক এলিজাবেথ জানান, তিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। প্রথমে যখন তিনি তার পরিবরের কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানান তারা প্রশ্রয় দেয়নি। পরবর্তীতে তিনি ওয়াশিংটনে হিসাব রক্ষক হিসেবে একটি ফার্মে চাকরি নেন। সেই টাকা জমিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এখন তাদের বিয়ে হয়েছে। ভালো আছেন। এসময় সবার কাছে আশির্বাদও কামনা করেন তিনি।

অন্যদিকে মিঠুন বিশ্বাস তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ‘আমি সিংগাপুরে ছিলাম বেশ কয়েক বছর। মূলত এলিজাবেথের সঙ্গে সম্পর্কটা শুরুই হয় ওখান থেকে। ফেসবুকের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে বন্ধুত্ব শুরু। আমরা দুই জনেই খ্রিষ্টান ধর্মের হওয়ায় আমাদের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। গত ২ জানুয়ারি এলিজাবেথ বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা ওকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ধর্মীয় রীতি মেনে গত ৬ই জানুয়ারি আমাদের বিয়ে হয়।’

তিনি আরও বলেন, এলিজাবেথ আমার সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে না পারলে হতাশ হয়ে পড়তো। আমাদের সম্পর্কটা ওর বাবা মা ও পরিবার মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে তাকে চলে আসতে বলি। সেও আমার প্রস্তাবটা মেনে নিয়ে চলে আসে বাংলাদেশে।

মিঠুন বিশ্বাসের বড় ভাই পলাশ বিশ্বাস বলেন, প্রথমে মিঠুন আমাদের পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলে। এরপর পরিবারের সম্মতিতেই এলিজাবেথকে আসতে বলে। প্রথমে আমরাতো বিশ্বাসই করিনি যে এলিজাবেথ সত্যিই চলে আসবে। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, ঘটনা সত্য। এ এক বিরল ঘটনা। আমার জীবনে এমন প্রেম দেখিনি। তারা যেন সুখী হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী