দাবি অনুযায়ী বেশ বড় অঙ্কের বেতনই বাড়ানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। কিন্তু তাতে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তাঁরা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই বেতন কাঠামোকে অন্যায্য ও অসম্মানজনক বলে বিবেচনা করছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এ বছরের জুনে শেষ হবে ক্রিকেটার ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যকার বেতন-সংক্রান্ত চুক্তি। নতুন আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই। বেতন কাঠামোর নতুন একটি মডেলও হাজির করেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে ২০২১-২২ সাল নাগাদ ক্রিকেটারদের বেতন বাড়বে প্রায় ৩৫ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা ২০২১-২২ সাল নাগাদ পাবেন আট লাখের বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এ ছাড়া থাকবে ম্যাচ ফি ও পারফরম্যান্স বোনাস। বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ মিলিয়ে টাকার অঙ্কটা বেড়ে যাবে আরো বেশ খানিকটা। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা আয় করতে পারবেন বছরে ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

কিন্তু এই বেতন কাঠামোতে সন্তুষ্ট নন ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের সংগঠন ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই বেতন কাঠামোর মাধ্যমে ‘ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অসম্মান করা হয়েছে। আর তারাই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে বড় অবদান রাখে।’

খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে লভ্যাংশ ভাগাভাগির অন্য একটি মডেল। যেখানে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় হবে তৃণমূলের ক্রিকেটে। ২২ দশমিক ৫ শতাংশ পাবেন ক্রিকেটাররা। আর ৫৫ শতাংশ জমা হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোষাগারে। বোর্ডের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোতে কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে।

তবে বিস্তারিত আলোচনার পর ক্রিকেটাররা এই চুক্তিই মেনে নেবেন বলে আশাবাদী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড। তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা যখন আমাদের সঙ্গে বসবে আর বিস্তারিত বিষয়টা জানবে, তখন তারা বুঝতে পারবে যে এটা সত্যিই একটা দারুণ প্রস্তাব। খেলোয়াড়দের জন্য এটা খুবই ন্যায্য একটা চুক্তি।’