মাশরাফিদের ফিল্ডিং শেখাতে বাংলাদেশে আসছেন সর্বকালের সেরা ফিল্ডার জন্টি
নিউজিল্যান্ড সফরে একের পর এক ক্যাচ উঠেছে আর তা ভূমিশয্যা নিচ্ছে! বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত গলে ক্যাচ ফসকানোর দৃশ্য নিয়মিত দেখা গেছে নিউজিল্যান্ড সফরজুড়েই। তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্টে সহজ-কঠিন মিলিয়ে গোটা বিশেক ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা।
হতাশার সিরিজ শেষ। চলছে ব্যবচ্ছেদ। কারণ অনুসন্ধান। ক্রিকেটের সেই আপ্তবাক্যটা নিশ্চয়ই জানেন—ক্যাচ মিস তো…? কথায় আছে ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে এ যেন নিত্য দিনের ঘটনা। প্রতি ম্যাচেই হাত ফসকে গেছে অসংখ্য ক্যাচ। যার দরূণ হারতে হয়েছে অনেক ম্যাচ। এর ব্যতিক্রম হয়নি সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ। পুরো সিরিজ জুড়েই ক্যাচ মিসের যেন ‘দোকান’ খুলে বসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
একদিনের ম্যাচ থেকে শুরু করে টেস্ট সিরিজ, সব ফরমেটে একই দৃশ্য। পুরো সিরিজে ১৮ টি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ। তাই সিরিজের সব ম্যাচে হারা বাংলাদেশের পরাজয়ের অন্যতম কারণ বাজে ফিল্ডিং। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের সমাপ্তির পর টাইগারদের ফিল্ডিং সমস্যা কাটাতে ফিটনেস নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে বিসিবি। ফিল্ডিংয়ের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে তাদের দায়িত্ব নিতে পারেন ‘ফিল্ডিং স্পেশালিস্ট’ বলে খ্যাত সাউথ আফ্রিকার জন্টি রোডস।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, আমাদের ক্রিকেটাররা কিছু হলেই ইনজুরিতে পড়ছে। ডাইভ দিতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে খেলতে পারছে না। তাই ফিল্ডিং কনসালটেন্ট হিসেবে আমরা জন্টি রোডসকে নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এখনো আলোচনার মধ্যে রয়েছে ব্যাপারটি।
তিনি আরো বলেন, রোডস আসলে প্রতিদিন ১০টি করে ডাইভ দেয়া শেখাবেন ফিল্ডারদের। কিভাবে ডাইভ দিতে হয় সেটি আয়ত্ব করবে ক্রিকেটাররা।’
নিউজিল্যান্ড সফরে ৮ ম্যাচে ২০টি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ দল। তাই ঘাটতি মেটাতে বিসিবি’তে সাময়িকভাবে নিয়োগ পেতে পারেন সাবেক ক্রিকেটার ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডস।
রোডস এলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাদের নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান পাপন। ২০১৫ সালে জন্টি রোডস শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ১০ দিনের ফিল্ডিং ক্যাম্প করান।
নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি সংশয় আছে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়েও।
গত আড়াই বছরে হোম সিরিজে যা চোখে পড়েনি, নিউজিল্যান্ডে দেড় মাসের সফরে তা পুরোটাই সামনে এসেছে। মানসিক শক্তি কিংবা ফিটনেস সবটাতেই ঘাটতি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। যা স্বাভাবিকভাবেই উন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়েই রাখছে বাংলাদেশকে।
মুশফিক-ইমরুল-মুমিনুলের ইনজুরিতে নতুন স্কোয়াড সাজাতে ২২ জনও যেন কম পড়ছিল। দলের সংকটের সময় তামিম-সাকিব-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রাও ছিলেন উদাসীন।
বিসিবি সভাপতি বলছেন, পরিস্থিতি বুঝে কাজ করার বোঝাপড়াটা দলে নেই। ক্রিকেটাররা বিভিন্ন সময়ে নানারকম কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ছেন। এ বিষয়েও কঠোর হচ্ছে বিসিবি। ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মুস্তাফিজের আইপিএল খেলার ছুটি বাড়িয়েছে বিসিবি
আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কেবল মুস্তাফিজুর রহমান।বিস্তারিত পড়ুন
মুস্তাফিজকে স্বাগত জানাল চেন্নাই সুপার কিংস
আগামী ২২ মার্চ পর্দা উঠছে বিশ্বের জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ ইন্ডিয়ানবিস্তারিত পড়ুন
তানজিদ-রিশাদের তাণ্ডবে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
টস জিতে ব্যাট নেওয়া শ্রীলঙ্কা জানিত লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে ভর করবিস্তারিত পড়ুন