বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মেডিকেলে পরের বছর ভর্তি পরীক্ষা দিলে নম্বর কাটা!

দ্বিতীয়বার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ। পরীক্ষায় বসার আগেই এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে তাদের অন্তত পাঁচ নম্বর কাটা যাচ্ছে। গত বছর উত্তীর্ণদের সবার ক্ষেত্রেই এমন ঘটবে।

গত বছর যারা এইচএসসি পাস করে এরই মধ্যে সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে তারা যদি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়, তাদের নম্বর কাটা যাবে আরো বেশি। এইচএসসির মূল নম্বর থেকে তাদের কাটা যাবে ৭ দশমিক ৫ নম্বর।

চলতি বছর থেকেই এমবিবিএস ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) পরীক্ষায় ওই নিয়ম চালু হচ্ছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কর্তন এবং পূর্ববর্তী বছরে সরকারি কলেজে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।’

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের কোটা ৫০ শতাংশই বহাল থাকছে। এ ছাড়া আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিডিএসের কোর্স পাঁচ বছর মেয়াদি হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে গত শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে বিতর্কিত করার জন্য অতীতে গুজব ছড়ানো হতো। কিন্তু গত বছর জোরালো নজরদারি ও সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ কেউ পায়নি। আগামীতেও এই মানকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ এখন অন্যান্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি অনুসরণ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পরীক্ষার মান সুষ্ঠু করার পাশাপাশি বেসরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারের কঠোর মনোভাব ও পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে এবং এ ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দেশের সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। বেসরকারি কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে এ কাজে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল ব্যক্তিত্বদের সম্পৃক্ত করার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করতে চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সভায় জানানো হয়, মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ হিসেবে নতুন নামকরণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।

সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মাকসুদ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেবিস্তারিত পড়ুন

রমজানে বিদ্যালয় বন্ধ: হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যা বললো

রমজানে স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের কপি হাতে পেলে সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

চলছে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা

শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সোমবার সকাল ১০টায় পরীক্ষাবিস্তারিত পড়ুন

  • ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • সাইনবোর্ডেই ঝুলছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নিরাপত্তা
  • বুধ ও বৃহস্পতিবারের ডিগ্রি পরীক্ষা স্থগিত
  • শিবির সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেটাল ছাত্রলীগ !!
  • শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে আড়াই গুণ: শিক্ষামন্ত্রী
  • ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের জন্য পৃথক ভর্তি পরীক্ষা
  • এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • ঢাবি উপাচার্য প্যানেল গঠিত, ৩ জনের নাম প্রস্তাব
  • শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে ‘আঙুল ভাঙল’ ঢাবি শিক্ষকের
  • ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতির কারণেই ফল নিম্নমুখী
  • রাজশাহীতে কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫
  • এবার জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২০,৫৫০ জন