বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মেডিকেল ছাত্রীর সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের প্রেমের গল্প

ক্লাস টেন থেকে শুরু, তারপর আপুটি চান্স পেয়ে যায় ঢাকা মেডিকেলে কিন্তু ভাইয়া কোথাও চান্স পায় না। সবাই ভেবেছিল রিলেশন এবারই শেষ, কারণ বাস্তবতা অনেকটা সেরকমই। কিন্তু যারা বাস্তবতাকেও হার মানাতে চায় সেরকম দুজনই ছিলেন কেয়া আপু আর সফিক ভাইয়া। অবশেষে সফিক ভাই ভর্তি হন তিঁতুমীর কলেজে। জাতীয় ভার্সিটিতে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজের কাছে হেরে গিয়ে একসময় নিজেই হার মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু আপু উনাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন।

প্রায়ই মেডিকেল থেকে তিঁতুমীরে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বোঝাতেন আমি আছি তোমার পাশে।
.
আপু বেশ সুন্দরী ছিলেন, ইন্টার্নি থেকে ব্যাচমেট অনেকে প্রপোজ করেছিল কিন্তু আপু যে ভালবেসেছিলেন ভাইয়াকে। সেকেন্ড ইয়ারে থাকার সময়েই বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসা শুরু করল। একটি মেয়ের জন্য বাসার বিপক্ষে যাওয়া অনেকটা অসম্ভব কাজ, তবুও বাবা ভাইকে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কাজ হচ্ছিল না। আজ ডাক্তার, কাল ম্যাজিস্ট্রেট পরশু আর্মি অফিসার পাত্র আসতেই থাকত। এই সময়ে নিজের আত্মীয়স্বজনেরাও উঠে পড়ে লেগেছিল বিয়ে দেয়ার জন্য, থার্ড ইয়ারে অনেক ভালো একটি পাত্র এল, ছেলে আমেরিকা থাকে, ইঞ্জিনিয়ার। গাড়ি, বাড়ী সবই ছিল, কিন্তু কেয়া আপুর তাতে কোন খেয়াল ছিলনা।
.
জোর করে যেদিন এঙ্গেজমেন্ট হয়েছিল সেদিন আপু অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, তার আগে সম্ভবত দুইদিন কিছু খাননি। সুস্থ হওয়ার পরে ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। ভাইয়াও সে সময়ে কিছু করার অবস্থায় ছিলেন না। উপায় না দেখে আপু পাত্রকে সব খুলে বললেন। শেষে সে বিয়ে হয়নি, রাগ করে বাবা-ভাইও আপুর সাথে কথা বলত না। নিজের খরচ নিজেকেই চালাতে হতো, ভাইয়াও কিছু হেল্প করতেন। সেই দিনগুলোতে অনেক কষ্টে ছিলেন দুজনই, মানসিক কষ্ট ছিল আরো বেশী।
.
আজ উনাদের মেয়েটির বয়স এক মাস হয়েছে। দুজনেই মাশাল্লাহ সুখে আছেন। সব কিছুই ঠিক হয়ে গেছে। ভাইয়া-আপু দুজনেই জব করেন। তাদের লাল-নীল সংসার। সেখানে মার্সিডিজ বেঞ্জ না থাকলেও বাইক আছে, দামী এপার্টমেন্ট না থাকলেও ছোট্ট ফ্লাট আছে যেখানে সুখ আছে, ভালোবাসা আছে আর আছে সারাজীবন পুষে রাখা স্বপ্নগুলো, চাঁদের আলোয় যে স্বপ্ন আকাশে ভাসিয়ে দেয়া যায়, মধ্যরাতে বাইকে করে ফুচকা খাওয়া হয়, নিয়ন বাতির নিচে হাজার বছর হাত ধরে হেঁটে বেড়ানো যায় আর অফিস থেকে ফিরেই বুকে জড়িয়ে ধরে বলা যায় ‘ হ্যাঁ, তুমি আছো আমার পাশে’…..।।

লেখক : জাবেদ আরেফিন

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য

ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রীদের মধ্যে হিনা খানের সাজপোশাক নিয়ে চর্চা লেগেইবিস্তারিত পড়ুন

কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল

আমার বাবা ভিক্ষা করতো, মা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সংসারে খুববিস্তারিত পড়ুন

অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ফুলানিরসিট। সেবিস্তারিত পড়ুন

  • মৌলানা পাস দিয়েছিলেন তারেক মাসুদ
  • আজ শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর, আয়োজন জুড়ে যা যা থাকছে
  • অভিনেতা ডিপজল দেশে ফিরবেন বৃহস্পতিবার: কি অবস্থায় আছেন তিনি !
  • ড. ইউনূস ফ্রান্সে সম্মাননা নাগরিকত্ব পেলেন
  • সুপারস্টার মেসিকে দেখতে চাকরি বিসর্জন দিলেন এক মেসিভক্ত !
  • দুই হাতে লেখে যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা !
  • বাংলাদেশপ্রেমী ফাদার মারিনোর শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না !
  • বন্ধু ফাদার মারিনো রিগন আর নেই !
  • স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
  • ‘সন্তানকে আগুনে ছুড়ে আমাকে ধর্ষণ করে সেনারা’
  • বিয়ের পূর্বে তিনি আগের স্ত্রীদের কাছ থেকে অনুমতি নেনঃ চল্লিশ বছরে ১২০ বিয়ে!
  • কেবল চা-পানি পান করে ৬০টি বছর পার করে দিল