সৌদি আরবের টেলিকম খাতে সৌদিকরণ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে দুটি কারণকে বড় করে দেখছেন। একটি হলো, কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে যথাযথ গবেষণা করেনি এবং অন্যটি হলো, এত বড় বাজার সামলানোর জন্য সৌদি নাগরিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। এই দুটি কারণের সাথে আরো একটি দিকে আঙ্গুল তোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই খাতে বিশেষ করে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকান্ডে এখনো প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা আছে এবং তারা অবৈধভাবে এটা করছে।

সৌদি নাগরিকরা দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মিউনিসিপালিটি কর্তৃপক্ষকে এই খাতের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর রাখার আহবান জানিয়েছেন। বলা হচ্ছে, প্রবাসীরা এখনো কমমূল্যে মোবাইল ফোন বিক্রির সাথে জড়িত আছে। হাতিম আল-সুলাইমানি নতুন একটি মোবাইলের দোকান দিয়েছেন। তিনি বলছেন-

‘আমি কখনোই প্রত্যাশা করিনি যে, দোকানের ভাড়া এত হবে। নতুন সৌদি ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই ভাড়া বহন করা কঠিন। দোকানের মালিকদের আরো অনেক খরচ আছে যেমন, লাইসেন্স ফি এবং বিরাট অঙ্কের ইলেকট্রিসিটি বিল।’ আব্দুল রহমান আল-সামরানি নামে আরেকজন বলেছেন, কর্তৃপক্ষের বহু সতর্কতা সত্ত্বেও বাজারে এখনো অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী রয়ে গেছে। ‘অনেক প্রবাসী তাদের বাসায় বসে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে।

আবার অনেকে গোপনে দোকানের দামের চেয়ে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রি করে।’ অর্থনীতিবিদ মানসুর আল-ঘামদি বলছেন মার্কেট সম্পর্কে যথাযথ গবেষণা করে তারপর মোবাইল ফোন খাতে সৌদিকরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। ‘হঠাৎ করেই মোবাইল ফোন খাত থেকে প্রবাসীদের সরিয়ে দিয়ে সৌদিদের বসানো সম্ভব নয়। অভিজ্ঞতা নেয়া এবং সমস্যা সমাধান করা শেখার জন্যও আমাদের উচিত সৌদি নাগরিকদের আগে প্রবাসীদের সাথে থেকে কাজ করতে দেয়া। এটা প্রশিক্ষণ, আর্থিক এবং বেতনের হিসাবে একটা ব্যর্থ পরিকল্পনা হয়েছে।’