যুগ পাল্টে গেছে। একসময় পাতার পর পাতা লেখা হয়ে যেত বিরহের ব্যাথায় কিংবা প্রথম প্রেমের একটু সাড়া পাওয়ার তাগিদে। পক্ষান্তরে সে পাড়ের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হত দিনের পর দিন। এখন সবই বুড়ো আঙুলের ক্ষণিকের ছোঁয়ার অপেক্ষা। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই মনের কথাটি থাকিবে না মনে। সংগোপনে তা চলে যাবে তাঁর কাছে। কিন্তু উত্তর মিলবে কি? কেল্লাফতে হবে না পরাজয়ের স্বাদ পাবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আজও সেই অপেক্ষাই ভরসা প্রেমিকের দলের। নারীমনের হদিছ পাওয়া কি সহজ কথা? তা হয়তো না। কিন্তু প্রেমের মোক্ষম বাণটি চালানো আগে কিছু কৌশল তো অবলম্বন করতে পারেন। যাতে অন্তত মেসেজের মাধ্যমে উত্তর পাওয়ার পথটি আরও সুগম হয় এবং তা যাতে আপনার অনুকূল হয়। তেমনই কিছু সূত্র মিলেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্য ধেকে।

প্রেমের ক্ষেত্রে প্রথম দর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টি একেবারেই হেলাফেলা করবেন না। আর এক্ষেত্রে আপনার হাতিয়ার হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচার। সেটি যেন অবশ্যই আকর্ষণীয় হয়। আপনার সেরা দিকগুলি যেন সেখানে প্রতিফলিত হয়। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি অপছন্দের নিজের ভাললাগার মানুষটির পাশে অন্য কোনও সুন্দরী মহিলাকে দেখা। এমনটা হলে মেয়েরা অতিরিক্ত সচেতন হয়ে পড়েন। আর প্রেমিকের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্নশীল হয়ে পড়েন।

অধিকাংশ মেয়েরাই সংবেদনশীল পুরুষ পছন্দ করেন। যাঁরা মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য পশুপাখিদের প্রতিও উদার হতে পারেন। তাই বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাঁর সঙ্গে নিজের একটি সুন্দর ছবি আপলোড করতেই পারেন।

ভুল করে ঠিক কাজটা করতেই পারেন। বুঝলেন না? আরে, ফোনে ভুল নম্বর ডায়াল করে কিংবা ভুল মেসেজ পাঠিয়ে কত সম্পর্কই না ঠিক হয়ে গিয়েছে। আপনি একবার চেষ্টা করে দেখতেই পারেন এই মিষ্টি ভুলটা করে।

সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে দুষ্টু-মিষ্টি মেসেজের তুলনা নেই। আজকাল মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে তো হামেশাই এমন বার্তা পাওয়া যায়। তবে মহিলাদের পাঠানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই শালীনতা বজায় রাখবেন।