রিমান্ডে ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার’ করলেন তুফান সরকার
বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর ধর্ষিতা ও তার মায়ের মাথার চুল কেটে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার। বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গ্রেপ্তারের প্রথম দিনেই ১৬৪ ধারায় তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান আতিক আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এরপর তাকে রিমান্ডের বাইরে রাখা হয়। রিমান্ড চাওয়া হয় তুফানসহ সহযোগ আলী আজম দিপু ও রুপম হোসেনের।
সোমবার বিকেলে নিজের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মা’র চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় জড়িত তুফান সরকারের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, স্ত্রী ও বড় শ্যালিকাসহ ৭ জনকে রোববার রাতে ও সোমবার বিকেলে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত দুই দিনে গ্রেপ্তার সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ সোমবার আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় বিকাল ৫টায় নারী কাউন্সির রুমকির চার দিনের এবং বাকি ছয় আসামির দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন, শ্বাশুড়ী রুমী বেগম, শ্বশুর জাহিদুল ইসলাম, বড় শ্যালিকা ও বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, মাথা ন্যাড়া করা নাপিত জীবন, গাড়ি চালক জিতু এবং তুফান সরকারের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত মুন্না।
এদিকে গ্রেফতারকৃতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে এখনও সোচ্চার রয়েছে বিভিন্ন সংগঠন সোমবার শহরে মানববন্ধন করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো। পাশাপাশি জেলা যুবলীগ এক বিবৃতিতে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছে।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে গত ১৭ জুলাই তাকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত নেতা তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে, ঘটনা জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা স্বামীকে দায়ী না করে ঘটনার জন্য কিশোরীটিকেই দায়ী করে। এরপর আশা তার বোন সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মার্জিয়া হাসান রুমকির মাধ্যমে ২৮ জুলাই ক্যাডার দিয়ে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ও তার মাকে তাদের বাদুড়তলার বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সেই রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী। এ ঘটনার পর ৩০ জুলাই তুফানকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আদেশ
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার প্রকাশিত গেজেট বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন
জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা
জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে কঠোরবিস্তারিত পড়ুন