বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

লাদেনকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, জানালেন তার স্ত্রী

বিশ্ব কাঁপানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী আমাল লাদেনের মৃত্যুর দিনের ঘটনা বর্ণনা করে জানান, ২০১১ সালের ১ মে রাতে বাড়ির বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী নেভি সিলের সদস্যদের দেখে লাদেনের চোখ-মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে ওঠে।

এবারই প্রথম লাদেনের পরিবারের কোনো সদস্য জানালেন, কীভাবে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল লাদেনকে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, নেভি সিল ও গোয়েন্দা সংস্থা বর্ণনা দিয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে ওসামা বিন লাদেনকে।

ওসামা বিন লাদেনের জীবনের ওপরে একটি বই লিখছেন ক্যাথি স্কট ক্লার্ক ও আদ্রিয়ান লেভি। তাঁদের কাছেই সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন লাদেনের সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী আমাল। আমালের ওই স্মৃতিচারণা তুলে ধরা হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য সানডে টাইমসে।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আমাল জানান, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরের একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন লাদেন। ছয় বছর ধরে সেখানে ছিলেন তাঁরা। ২০১১ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার উড়ে আসে।

এ সময় লাদেনের চোখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হেলিকপ্টার লক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকানরা আসছে। ’

সেনাসদস্যরা যখন বাড়ির দিকে আসছিল, লাদেনের তিন স্ত্রী তাঁদের সন্তানদের নিয়ে বাড়ির ওপরতলায় চলে যান এবং প্রার্থনা করতে থাকেন। লাদেন তখন তাঁদের নিচতলায় চলে আসতে নির্দেশ দেন। বলেন, ‘তারা আমাকে চায়, তোমাদের না। ’ এরপর স্বামীর কাছে সন্তান হুসেইনকে নিয়ে থেকে যান আমাল।

এদিকে, ততক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল সদস্যরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে লাদেনের ছেলে খালিদকে হত্যা করেছে। পথে তাদের সঙ্গে লাদেনের অপর দুই মেয়ে সুমাইয়া ও মিরিয়ামের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওই বাড়িতে থাকা কেউ একজন সেনাসদস্যদের লাদেনের লুকানোর জায়গাটি (সেফ হাউস) চিনিয়ে দেয়।

একপর্যায়ে সেনাসদস্যরা লাদেনের ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমাল ও হুসেইন। সে সময় আমাল তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁর পায়ে গুলি করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় সেনারা। এরপর লাদেনকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। একটু ধাতস্থ হয়ে লাদেনের কাছে যান আমাল। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে লাদেনের। মায়ের পাশে বসে বাবার হত্যাকাণ্ড দেখেছিল শিশুপুত্র হুসেইন।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আমাল বলেন, লাদেনকে হত্যার পর সেনাসদস্যরা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী খাইরিয়াহ, দুই মেয়ে সুমাইয়া ও মিরিয়ামকে তাঁর লাশের পাশে নিয়ে যায়। তারপর লাদেনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। শনাক্তকরণ শেষে লাশ নিয়ে চলে যায় নেভি সিল সদস্যরা।

আমাল জানান, ওই বাড়িতে হামলা হতে পারে, সে কথা চিন্তাই করেননি লাদেন। এ জন্য তাঁর কোনো পূর্বপরিকল্পনাও ছিল না। আর স্বামীর জীবনের শেষ মুহূর্তের ওই বিভীষিকা নিয়ে তাঁরা কোনোদিন আলোচনাও করেননি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশেবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটিবিস্তারিত পড়ুন

একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা

দেশের বাজারে এক লাফে ৩১৩৮ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন

  • তৃণমূল গুন্ডা অপরাধীদের উন্নয়ন করেছে
  • যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ব: নেতানিয়াহু
  • হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধানসহ নিহত ১০
  • ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
  • গবেষণায় বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া শিশুখাদ্য সেরেলাক নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
  • স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ভাঙল
  • গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, ৪ শিশুসহ নিহত ১৪
  • ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনিদের
  • চার দিনেরে সফরে ঢাকায় ভুটানের রাজা
  • ভোরে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২০
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • আফগানিস্তানে তীব্র তুষারপাত ও বৃষ্টিতে ৬০ জনের মৃত্যু