শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শিশুরাই সংসারের অভিভাবক, অর্থদাতা

মো. ফরমান শেখ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

মা-বাবার স্বপ্ন আমার সন্তান পড়ালেখা করে একদিন বড় হবে, মানুষের মত মানুষ হবে, দেশ পরিচালনা করবে, দেশ ও পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করবে এই চিন্তা-ভাবনায় থাকে সারাক্ষণ। এসব চিন্তা-ভাবনা ও স্বপ্ন শুধু দেখে যায় গ্রাম ও শহর অঞ্চলের মানুষরাই বেশীভাগ। কিন্তু এসব স্বপ্ন উল্টো দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর মধ্যে অঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়নের শত গ্রামের কোমলমতি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুরা।

শিশুদের মতে, মা-বাবার কথাই তাদের শেষ কথা। হাতে বই কলমের বদলে তুলে দেন সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সংসার চালানোর বিভিন্ন শ্রম উপকরণ। হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয় ঘোড়ার লাগাম, ধান, গম, পাট কাটার কাস্তে, আবার অন্যের বসভিটা ভরাট করার জন্য কোঁদাল (পাইছা) ডালি। শুধু তাই নয় যমুনা নদীতে পানি এলে ভোর সকালেই চলে যেতে মাছ ধরার জন্য জাল নিয়ে, শেষ রাতে নৌকা যোগে ডুব দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলেন কাজ। পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া যায় ৩০০-৪০০ টাকা। এ টাকা দিয়েই প্রতিনিয়ত সংসার চালাতে ব্যস্ত থাকতে হয় শিশুদের। ফলে ঝড়ে পড়ছে বাল্য শিক্ষা থেকে। অন্য দিকে চরঅঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে।

শিশু শ্রমিক সবুর আলী জানান, আমরা মোট ৬ ভাই-বোন ও মা-বাবা মিলে ৮জন। এ সংসারে আমার বাবার পক্ষে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে অসম্ভব। মাও স্কুলে যেতে দেন না। তাই বাধ্য হয়ে সংসার চালানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজ করে অর্থের যোগান দিতে হয়। আমাদের ভবিষৎ নেই। দিন কামাই করি দিন খাই। আর ছোট ভাইদের লেখাপড়া করাই। আর আমি ওদের বর্তমানে অভিভাবক ও অর্থের যোগান দাতা।

ঘোড়া চালক, কালু চাঁন জানান, স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না, কলম কেনার জন্য বাড়িতে টাকা পাই না। এক বেলা কাজ না করলে বোকাবোকি করে। তাই আর কি সংসারের হাল ধরছি। মাসে এক বস্তা করে চালের টাকা আমাকে যোগার করতে হয়। স্কুলে যাব কখন। ঘোড়ার (ক্ষেপ) বাই। প্রতিদিন ভালোই টাকা কমাই করি। আমার খরচ ও চলে। বাবা ত বাড়িতে থাকে না। গ্রামে-গঞ্জে গুরে কাপড় ব্যাচে। এখন আমাকে পরিবার দেখতে হয়।

বাল্য বিবাহ শিকার জাহানা খাতুন জানান, আমি যখন ৬ ক্লাসে পড়ি তখন আমাকে ছেলে পক্ষে থেকে দেখতে আসে। পরের দিন হুনি শুক্রবারে আমার বিয়া। আমি রাজি হয়নি বলে আমাকে বোকা দিতে শুরু করে আর বলে তরে আর আমরা পালতে পারমু না তুই বড় হয়েছিস। তাই তর এখন স্বামীর বাড়িতে সংসার করতে হবে। আমি বলছিলাম লেখাপড়া করে বড় হতে চাই। ডাক্তার হয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করব। মাংনা চিকিৎযা করমু। কে শুনে কার কথা। স্বপ্ন টা স্বপ্নই রয়ে গেল। অবশেষ পরিবারের কথাই মেনে নিলাম।

ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, যমুনা চরঅঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি বেশী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুলে স্কুলে বাল্য বিবাহের কুফল ও বন্ধে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান ঝলককে বাড়ি থেকে ডেকেবিস্তারিত পড়ুন

তীব্র যানজটঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, খানা খন্দক আর ভাঙ্গাচোরা ব্রিজেরবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন বন্ধ !

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পৌলি নদীর ওপরের রেলসেতুর একাংশের মাটি বন্যারবিস্তারিত পড়ুন

  • টাঙ্গাইলে সৎ বাবার ধর্ষণে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা
  • নিজ উদ্যোগে মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপন
  • ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মা-ছেলের মৃত্যু; আহত ৩
  • গুলি করে চাঞ্চল্যকর হত্যাঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৪ পুলিশ চাকরিচ্যুত
  • টাঙ্গাইলে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী প্রতারিত, থানায় লিখিত অভিযোগ !!
  • ব্রিজ ভেঙে ট্রাক-সিএনজি খালে, নিখোঁজ ১০
  • স্বামীর মৃত্যুর ৭ বছর পর টাঙ্গাইলের সালেহা পাগলি ফের মা হলেন
  • ৫৫ বছর বয়সী এক বিধবার সঙ্গে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের পরকীয়া, আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে বিয়ে
  • টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু, আহত ৩
  • শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি, ফেন্সিডিলসহ যুবক আটক
  • রাস্তার পাশের মাটি নরম ও গর্ত, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটার যানজট
  • পদ্মায় মিলল ৮৮ কেজি ওজনের বাঘাইড়