বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শিশুর মাঝে কৃতজ্ঞতা তৈরি করবেন যেভাবে

অনেক যত্নে বড় করা সন্তান যখন এক সময় আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার করে তখন মনে হয় জীবনের যেন আর কোন মূল্য নেই। বাবা-মা সন্তানকে একটি ভাল জীবন দিতে করেন না এমন কিছু নেই। নিজে প্রয়োজনে না খেয়ে থাকেন, কিন্তু সন্তানকে অভুক্ত রাখেন না। সারাদিন পরিশ্রম করেন আর দিনশেষে সন্তান যত অদ্ভুতই আবদারই করুক না কেন হাসিমুখে মেনে নেন।

তবু প্রাপ্য সম্মানটুকু অনেক সময়ই পান না বাবা-মায়েরা। এমন কি কোন উপায় আছে যেভাবে সন্তান লালনপালন করলে সে সন্তান অকৃতজ্ঞ হবে না? বাবা-মায়ের কষ্ট বৃথা যাবে না? জ্বী। আছে। সাধারণ এই বিষয়গুলো জেনে রাখুন এবং প্রয়োগ করুন-

১। শপিংমল এড়িয়ে চলুন
নিয়মিত শপিং করা এখন যেন ট্রেন্ড। শপিং না থাকলেও শপিংমলে যেতে হবে। শিশুকে নিয়ে শপিং মলে যাতায়াত বন্ধ করুন। তাকে প্রায়ই খেলনা বা চকোলেটের দোকানে নিয়ে যাবেন না। এতে তার চাহিদা সীমিত থাকবে।

২। ৩য় পক্ষের দিকে খেয়াল রাখুন
আমাদের নিজেদের পরিকল্পনাতে প্রায়ই বাধ সাধে ৩য় পক্ষ। আপনি হয়ত ভেবেছেন সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হলে তার হাতে স্মার্টফোন দেবেন না। কিন্তু তার বন্ধুর বাবা ঠিকই বন্ধুকে স্মার্টফোন কিনে দিলেন। আপনার সন্তান কিন্তু আপনাকে নিয়ে অসন্তুষ্টিতে ভুগতে শুরু করবে। তাই আগেই খেয়াল রাখুন সন্তান কাদের সাথে মিশছে।

৩। টাকার মূল্য বুঝতে দিন
সন্তান চাইলে আকাশের চাঁদও এনে দিতে ইচ্ছে হয় আমাদের। কিন্তু তার সব চাওয়া পূরণ করার ফল প্রায়শই ভাল হয় না। ‘না’ বলতে শিখুন। বুঝিয়ে বলুন। টাকা অনেক পরিশ্রম করে আয় করতে হয় এ কথা জানান তাকে। তার সামনেই মাঝে মাঝে গল্প করুন, কেমন খাটুনি গেছে আপনার সারাদিন।

৪। নিজের কথা বলুন
নিজের ছেলেবেলার কথা বাচ্চাদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার সময়ের প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরুন। এতে তারা বুঝতে পারবে তারা এখন কত ভাল আছে। তবে অবশ্যই কথাগুলো গল্প করার ছলে বলুন। তুলনার্থে নয়। শিশুরা তুলনা পছন্দ করে না। এতে হয় তারা বিতশ্রদ্ধ হয় অথবা হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে।

৫। কৃতজ্ঞতা থাকতে হবে আপনার মাঝেও
বলা হয়, চাক্ষুষ প্রমাণের চেয়ে বড় কিছু নেই। আপনার সন্তান যখন আপনাকে আপনার বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে দেখবে তখন এর প্রভাব পড়বে তার জীবনেও। শুধু নিজের বাবা-মায়ের প্রতি নয় স্ত্রী বা স্বামীর বাবা-মায়ের প্রতিও শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। অন্য শিশুদের বেড়ে ওঠা, তাদের বাবা-মায়ের অবদান নিয়ে সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন

সর্বোপরি শিশুর শিক্ষক নয়, বন্ধু হন। এমন বন্ধু যার প্রতি সবসময় ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় পূর্ণ থাকে মন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে

স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন

শিশুকে ‘ডব্লিউ পজিশনে’ বসতে বারণ করুন

শিশুদের বসার অন্যতম একটি ভঙ্গিমা হচ্ছে ‘ডব্লিউ পজিশন’। এক্ষেত্রে তারাবিস্তারিত পড়ুন

ছুটিতেও চলুক জ্ঞানচর্চা

সন্তানের স্কুলের ছুটি হয়ে গেছে। এইসময় তাকে নিয়মের মধ্যে নাবিস্তারিত পড়ুন

  • রাতে জন্ম নেয়া শিশুরা কেন ব্যতিক্রম? জেনে নিন
  • রাতে জন্মানো শিশুরা যেমন হয়
  • ধুলায় বাড়ছে শিশুর কাশি; কী করবেন?
  • বিশেষ যত্নে বড় করুন প্রতিবন্ধী শিশুকে
  • আপনার যে ভুলে সন্তান ক্লাসে অমনোযোগী!
  • যেভাবে আপনার কন্যা শিশুটির ক্ষতি করছে এ যুগের খেলনা
  • ‘আমি স্বাধীনতা দেখমু, আমি যুদ্ধ করুম’
  • শীতে শিশুর প্রস্তুতি
  • শিশুর নাকে পানি ঝরার সমস্যায় কী করবেন?
  • শীতে নবজাতকের যত্নে কী করবেন
  • ঋতুবদলের সময় শিশুদের একদিন পরপর গোসল করান
  • শিশু যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ: আপনার শিশুকে যে জিনিসগুলো অবশ্যই শেখাতে হবে