শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সন্ত্রাস দমনে কোটি কোটি ডলার, দুর্ভিক্ষ দমনে কত?

বর্তমান পৃথিবীর মৌলিক সমস্যাগুলোর অন্যতম হলো অনাহার ও খাদ্য সংকট। প্রতিটি দেশই কমবেশি এই সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু সোমালিয়ার বর্তমান অবস্থা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা মানবতার জন্য রীতিমত কলংকের। ৫ মার্চ ২০১৭ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্ট মতে মাত্র ৪৮ ঘন্টায়ই অনাহারে ১১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে ইউনিসেফ ঘোষণা দিয়েছে যে, গোটা বিশ্বে ২ লাখ ৭০ হাজার শিশু এবছর অপুষ্টির শিকার হবে। উল্লেখ্য, সোমালিয়া ইতিপূর্বেও কয়েকবার এমন দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছিল। ১৯৯২ সনে প্রায় ২২০ হাজার ও ২০১০ – ২০১২ সনে প্রায় ২৬০ হাজার মানুষ সেখানে দুর্ভিক্ষে মারা যায়।

বিশ্ব মানবতা আজ বিভিন্ন বিপর্যয় ও সংকটের মাঝ দিয়ে দিনানিপাত করছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ও সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদ সহ বহুমুখী সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে এসবের মাঝেও ‘খাদ্য সংকট’ মানুষের সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিচ্ছে এখন। কারণ মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন, ক্ষুধার কষ্টে আপনজনের মৃত্যু কে সইতে পারে!

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা অনেকটাই দ্বিমুখী। তথাকথিত সন্ত্রাস দমনের নামে তারা কোটি কোটি ডলার খরচ করতে পারছে, কিন্তু খাদ্যসংকট নিরসনে তাদের কোন উদ্যোগ নেই। আজ যদি দু’চার জন মানুষও কোন হামলায় মারা যায় তাহলে বিশ্বমোড়লেরা সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে নানা বুলি আওড়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। অথচ সোমালিয়ায় এইযে এতগুলো মানুষ মারা গেল তা নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কি ছিল? বিশ্বগণমাধ্যমের ভুমিকাও এখানে একইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। তার মানে কি আমরা এই বুঝব যে, ব্যবসা সম্প্রসারণ, অস্ত্র বিক্রিসহ নিজেদের নানা স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তারা পৃথিবীব্যাপী এই সন্ত্রাসবাদের ধোঁয়া তুলছে…?

মানব জীবন রক্ষা করা প্রতিটি ধর্মের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। এখানে ধর্ম – বর্ণ বা অন্যকোন পার্থক্যের সুযোগ নেই। বর্তমান সভ্যতার উৎকর্ষের এই যুগে মানব জীবন সুরক্ষায় আরো ব্যাপক ও সার্বজনীন পদ্ধতি আবিষ্কার ও প্রয়োগের দরকার ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ভোগবাদী এই সমাজ ব্যবস্থা গরিব ও দুর্বলের রক্ত চুষে সবলের বিলাসিতার সব আয়োজন চূড়ান্ত করতেই ব্যস্ত।

ইসলামী শরিয়ত ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মৌলিক যে পাঁচটি অধিকার নিশ্চিত করেছে তা হলো ‘ধর্ম, জীবন, বংশ, সম্পদ ও বিবেক’। প্রতিটি মানুষের এই পাঁচটি অধিকারের পূর্ণ সুরক্ষার নীতিমালা বর্ণিত হয়েছে কুরআন ও সুন্নাহয়। হাদিসে ইরশাদ হয়েছেঃ ‘যে ব্যক্তি পেট পুরে খেয়ে রাতে ঘুমাতে যায় অথচ তার প্রতিবেশী না খেয়ে আছে সে মুমিন নয়’।

ইসলাম ভোগবাদী নয়, জীবনমুখী সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটিয়েছে যাকাত – সাদাকার বিধানের মাধ্যমে। সুদ – ঘুষ – জুয়া ও প্রতারণার সব পথ বন্ধ করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতির প্রবর্তন করেছে ইসলাম। তাই বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতির এই নাযুক সময়ে সমাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনের প্রতিটি শাখায় ইসলামের ব্যপক প্রসার অপরিহার্য কর্তব্য।

লেখকঃ এমফিল গবেষক, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?