বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সরিষা ফুলে অপরূপ সাজে সেজেছে, আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের নামা অঞ্চল

মোঃ শিফাত মাহমুদ ফাহিম, আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ প্রকৃতিতে যেন বসন্ত লেগেছে। অথচ এখন শীতকাল, মাঘের ভরা শীত। ধুলা আর কুয়াশায় ধূসর সারা প্রান্তর। তাও দূর থেকে হলুদ আভার অহব্বান। চারদিকে হলুদের সামাহার। এ যেন রুপকথার রাজকুমারির গায়ে হলুদ। সবাই কনেকে হুলুদ দিতে এসেছেন। এসেছে প্রজাপতি মৌমাছির হলুদিয়া নীলনাঙ্গা পাখি, পোকামাকড় থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রজারা। সবই যেনো হুমড়ে পড়েছে হলুদের উপর। এখানে একটু রঙ পাওয়া যাচ্ছে। রোদ চড়লে হলুদ ও যেনো জ্বলে উঠেছে। আর তার কি ঝাঁজালো ঘ্রান। শীতের বাতাসে ঘ্রান ও তেমন পাওয়া যায় না। অন্যান্য বেশির ভাগ ফুলে এ সময় গন্ধ থাকে না একমাত্র সরিষা ব্যতিরেকে। এ ঝাঁজ যেন বুকে ধাক্কা মারে। বিজ্ঞানীরা একে বায়ু বিশুদ্ধকরন ঘ্রান বলে বিবেচনা করেছেন। ফুসফুসের উপকার সাধিত হয় সরিষা ফুলের ঘ্রানে।

তাই শীতে বসে না থেকে এই প্রান্তরের হলুদে মিশে যান একদিন। এখানে সবাই ব্যাস্ত। কেউ কারো দিকে তাকোনোর সময় নেই। কৃষকরা ব্যস্ত সরিষা তুলতে। আর মৌমাছি মধু খুজে ফিরছে ফুলে ফুলে। আর একটু চোখ মেললেই দেখতে পাবেন নানা রঙ্গের প্রজাপতিতে ভরে সরিষা ক্ষেত। রঙ-বেরঙের প্রজাপতি ডানা ঝাপাটানোা চিত্তে জাগাবে নবতর আনন্দ। কোথাও ঝলক দিয়ে উঠেছে কালো ডানায় হলুদ লালের মিশ্রনে, নীল, সবুজ, লাল-নীলের ডোরাকাটা বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি। প্রজাপতিরা এখানে আসে বিশ্রাম নিতে। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় সরিষা ফুলের ঘ্রানে তাদের উপকার মিলে। অনেক দূর ঘুরে বেড়ানোর পর সরিষার মাদকতা তাদের আকৃষ্ট করে। এসে জিরিয়ে নেয় খানিকটা কোন ফুলের অথবা পাতার গোড়ায়। আর সেখানেইা ঘটে বিপত্তি। প্রজাপতি খাদকরা এ মধ্যেই হাজির হয়ে যায়। ঘপটি মেরে আছে কখন যেনো ঠোকর মেরে তুলে নিয়ে যাবে রঙ্গিন ডানা কাটা প্রজাপতি। ফিঙে, শাকিল, এখন অনেক পাখির জন্য ও যেনো এ এক উৎসব। অঢেল প্রজাপতি আজ তাদের খাবার হিসাবে উড়ে বেড়াচ্ছে নাগালের মধ্যেই। শুধু প্রজাপতি কেন নাম না জানা পোকার বসত সরিষা ক্ষেতে। এখানে আসলে সবপোকার দেখা মিলবে। কোনটা হলুদ, কোনটা নীল কোনটা লাল।

দেখা যায় এরি মাঝে পিঁপড়ারা ও সারিবেঁধে সরিষা বেধে সরিষা ক্ষেতে আসে ফুল দূলতে। এ যেনো এক ঈশপের গল্প। এ সময় ফুল ও ভ্্রমরের রুপককার সন্ধানে হেঁটে বেড়াতে পারেন সরিষা ক্ষেতের আইল ধরে। প্রকৃতির জীবনে অনেক মূহূর্তের সন্ধান পেয়ে যাবেন হয়তো। শীতে শুকিয়ে আসা খাল-বিল, কলমি ফুল,ঘটে ফুল। সবজি থেকে ঝিঙে, লাউ, কুমড়ার হাসি নজর এড়াবেনা এ সময়। পাখিদের উৎপাতে ভাঙ্গা মাটির কলস দিয়ে বানানো কাক দাড়–য়া জমিয়ে তুলবে আপনার ভ্্রমন। এক একটি নীল-কন্ঠ ফিঙে। পানকৌড়ি শীতেও সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশে আপনাকে করবে উৎফুল্ল। সরিষা ক্ষেতে মাঝে দাঁড়ালে তার ঘ্রান অপনাকে মুগ্ধ করে দিবে আর মনে এনে দিবে কবি গুরুর সোনার বাংলার কথা, নজরুরের পাখি সব করেরব এর কথা, কায়কোবাদের জন্মভ’মির কখা, ও পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের গ্রাম বাংলার কথা। তাই আপনি যদি একটু সময় পান শত ব্যস্ততার মাঝে তাহলে একটুা ছুটে আসুন প্রকৃতির এমন নিলা খেলা দেখতে আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়ানের নামা অঞ্চলে। প্রকৃতির এমন অপরুপ দৃশ্য দেখে আপনি চলে যাবেন এক অপরূপ সৌন্দযের স্বর্গে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেলগেটে ট্রেনে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল,বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে মাহবুবকে অব্যাহতি

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বার সভাপতির শপথ নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুববিস্তারিত পড়ুন

পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার মিলল ২৭ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ২৭বিস্তারিত পড়ুন

  • টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
  • সন্ত্রাসী হামলায় আইনজীবী আহত
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • সোনারগাঁয়ে ভোটকেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
  • মানিকগঞ্জে হুমকি দিয়ে মন্দিরের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ
  • ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মায়েরও
  • হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
  • দুর্ভোগে নগরবাসী টানা বৃষ্টি
  • তিন টাকায় ডিমঃ সস্তার ডিম নিয়ে কাড়াকাড়ি
  • নিখোঁজের ১৪ দিন পর বাড়ি ফিরলেন মেয়র
  • দুই ইঞ্জিনিয়ার ছেলে মাকে পিটালেন সম্পত্তির লোভে !
  • আগুনে পুড়ে সন্তান দগ্ধ, মায়ের মৃত্যু !