বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

স্বামীর শরীরের গন্ধে স্ত্রীর এলার্জি

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী জোহানা ওয়াটকিন্স ও তার স্বামী স্কট। অন্যান্য দম্পতির মতো তারা একে অপরকে আদর করতে পারেন না, কিংবা এসকঙ্গে একঘরে সময়ও কাটাতে পারেন না। কারণ জোহানা এক দুরারোগ্য এলার্জি সংক্রামনের শিকার। জোহার এলার্জির প্রধান কারণ স্কটের সংস্পর্শ। স্কটের সংস্পর্শে আসলেই জোহানার দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থায় থাকা এলার্জি সংক্রামন মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। এই এলার্জির নাম মাস্ট সেল এক্টিভেশন সিনড্রোম। এই এলার্জি একেক মানুষের শরীরে একেক মাত্রায় থাকতে পারে।

এই এলার্জির কারণে জোহানা ও স্কটের দাম্পত্য জীবন অন্যদের চাইতে একেবারেই আলাদা। জোহানা বলেন, ‘মনে করুন আমরা একসঙ্গে সিনেমা দেখতে চাইলাম। কিন্তু সমস্যা হলো স্কট ও আমি তো এক ঘরে থাকতে পারি না। কারণ তার ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে। তখন আমরা আলাদা ঘরে ল্যাপটপ নিয়ে বসি। এভাবেই আমরা একসঙ্গে ছবি দেখি এবং একে অপরকে টেক্সট করে জানাই কার কেমন লাগছে।’

জোহানা একাই একটি ঘরে থাকেন। ওই ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকে। বাতাস শোধনের জন্যে সেখানে একটি যন্ত্র আছে। তারা বিয়ে করেছেন ২০১৩ সালে। কিন্ত বিয়ের আগে জোহানা ভাবতেও পারেন নি যে পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হতে পারে। জোহানা ছিলেন শিক্ষক। একসঙ্গে তারা হাইকিংয়ে যেতেন। তখনও তার শরীরে লাল লাল হয়ে ফুলে উঠতো। পেটের ভেতরে অস্বস্তি হতো। মাথা ব্যথা করতো।কিন্তু বিয়ের পর এসব অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।

স্কট বলেন, ‘তিন থেকে চার বছর আগে আমি যখন ওর খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হতাম, বিশেষ করে আমার মুখ যখন ওর মুখের কাছাকাছি যেতো, তখনই সে কাশতে শুরু করতো। এজন্যে অনেক কিছুই একসঙ্গে করতে পারতাম না। এবং সেই সব আমাদের মেনেও নিতে হয়েছে।’

কিন্তু এখন জোহানার যে শারীরিক অবস্থা আমরা হয়তো আর কখনোই একসঙ্গে থাকতে পারবো না। মাত্র একবছর আগে আমরা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি- বললেন স্কট।

জোহানা বলেন, ‘যখন স্কট ঘরে আসতো আমি অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করতাম। তারপর একদিন সে তার চুল কেটে ঘরে ঢুকলে দুই মিনিটের মধ্যেই আমার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেল। তখনই তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হলো। এর এক সপ্তাহ পর স্কট আবার আমার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলো। কিন্তু তখনও ঘটলো একই ঘটনা।’

তখনই স্কট ও জোহানা বুঝতে পারলো যে তাদের জীবনে নাটকীয় এক পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।

স্কট বলেন, এই সমস্যার সহজ কোন সমাধান নেই। তবে আমি জোহানাকে নিরাপদ দেখতে চাই। এখন তার ব্যাপারে আমার যত্ন নেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে তার কাছে না যাওয়া। আমি ওর সুস্থ হয়ে ওঠার জন্যে অপেক্ষা করবো। কখনো কখনো এই পরিস্থিতির কারণে ক্ষুব্ধ হই কিংবা হতাশ হয়ে যাই।

জোহানা জানান, ‘এর আগে আমার বাবা মা বা অন্যদের ব্যাপারে আমার এলার্জি ছিলো। কিন্তু এটা যখন ওর ব্যাপারে হলো তখন সেটা খুব ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ালো।’

এরপর তিনি যেসব চিকিৎসা নিয়েছেন তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। তারা নিজেরাও জানেন না কখনও এই অবস্থার উন্নতি ঘটবে কিনা।

জোহানা জানান, বাসর রাতেই তারা অঙ্গীকার করেছিলেন যে কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেন না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী