হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা : কী বলে ইসলাম
এখানে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে- এক. নেশাজাত দ্রব্য দ্বারা চিকিৎসা করা। দুই. বিষাক্ত দ্রব্য দ্বারা চিকিৎসা করা। তিন. হারাম প্রাণী এবং পশুর হারাম অংশ দ্বারা চিকিৎসা করা। চার. এ জাতীয় ওষুধ শরীরে ব্যবহার আর সেবনের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
মূলত উল্লিখিত বিষয়গুলোর মূল কথা হলো, নাপাক এবং হারাম বস্তু দারা চিকিৎসা করা ইসলামে জায়েজ না নাজায়েজ? এই ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফার বিখ্যাত মত হলো হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা জায়েজ নেই। (আলমগিরী)
ইমাম শাফী (রা.) মতে মদ এবং নেশা জাত অন্যান্য দ্রব্য ছাড়া অন্য সকল হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করা জায়েজ। (কিতাবুল উম)
তাদের এই মতের ভিত্তি হলো হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহপাক হারামের মধ্যে তোমাদের জন্য কোনো শেফা রাখেননি।
অবশ্য মালিকী ও হাম্বলী ফকীহগণ এবং হানাফিদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ অবশ্য সব ধরণের হারাম বস্তু দ্বারাই চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছেন। যদি বৈধ বস্তু দিয়ে তৈরি কোনো বিকল্প কোনো ওষুধ না থাকে এবং কোনো মুসলিম চিকিৎসক সুস্থতা অর্জনের বিষয়ে আশ্বাস প্রাদন করে থাকে। তাহলে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রক্ত ও প্রসাব পান করা এবং মৃত প্রাণী ভক্ষণ করা জায়েজ আছে (আলমগিরী)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদ সালামি কি জায়েজ?
বছরে দুবার মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নির্ধারিত। ঈদ এলেই আনন্দবিস্তারিত পড়ুন
শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। পবিত্র ঈদুল ফিতরবিস্তারিত পড়ুন
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার কথা জানালো ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহসহবিস্তারিত পড়ুন