মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মুন্সিগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বেত ঝোপ-ঝাড় নিধনে

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- গ্রাম বাংলার বাড়ির পেছনের অংশে বাঁশ ঝাড়, গাব গাছসহ অযতেœ বেড়ে ওঠা গাছের মধ্যে একটি ছিলো বেত গাছ। কাঁটাযুক্ত বেত গাছ লতার মতো হলেও এটি নরম প্রকৃতির নয়। এর ফলকে বেত ফল বা বেতুন বলে। আংগুরের মতো থোকা থোকা ফল চৈত্র-বৈশাখ মাসে পেকে থাকে। দুষ্ট ছেলেমেয়ের দল অনেক কষ্ট শিকার করে বেত ফল সংগ্রহ করে লবণ মরিচ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে তা খুব মজা করে খেত। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের বেত ফল কী তা খুঁজতে গাছের বিশ্বকোষ চষে বেড়াতে হয়।

গ্রামের কৃষক শ্রেণীর অতি প্রয়োজনীয় গাছ হিসেবে পরিচিত বেত গাছ। তারা বেত দিয়ে নানা ধরনের কাজ করে থাকে। কৃষকের মাটি কাটার ওড়া, বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য ঝাঁকা বা ধামা বা টুকরি, শীতল পাটি, নামাজের পাটি, ভাত খাওয়ার পাটি, হাত পাখা, হাতের লাঠি ইত্যাদি তৈরির কাজে বেত ব্যবহার হয়ে থাকে। আর শহরের অভিজাত শ্রেণীর জন্য চেয়ার, সোফা, দোলনা, ফুলদানি তৈরিসহ নানা কাজে বেতের অনেক কদর। বেত একটি মূল্যবান, টেকসই এবং স্মার্ট শ্রেণীর দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত।

মানুষ প্রয়োজনে ঝোপ-ঝাড়ের সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছে। সাবাড় করে দিয়েছে বাড়ির আশপাশের ক্ষুদ্র প্রকৃতির বন। ফলে গ্রাম থেকে আজ সিরাজদিখান উপজেলাসহ মুন্সিগঞ্জ সদর টংগিবাড়ি লৌহজং উপজেলাগুলো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান বেত। যাকে গ্রামে আঞ্চলিক ভাষায় বেতঝাড় বলা হতো। আজ কয়েক গ্রাম হাঁটলেও একটি বেতঝাড় দেখতে পাওয়া যায় না।

বেত বনে ছিলো ডাহুক পাখির বাস। সকালে দুপুরে রাতে ডাহুক আপন মনে ডেকে যেতো মন মাতানো সুরে। বেত গ্রামের আনাচে-কানাচে ঝোপ-ঝাড়ে অযতেœ বেড়ে উঠলেও তার রয়েছে বাণিজ্যিক কদর।

গ্রামের হাটবাজারে বেতের তৈরি মুড়া প্রভৃতি বিক্রির পাশাপাশি তা শহরে রপ্তানি হতো। গত কয়েক বছর আগেও জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাটের দিন গ্রামের কৃষক শ্রেণীর মানুষ বেতমুড়া বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসতো।

একটি ২০-২২ হাত লম্বা বেত আগে বিক্রি হতো ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কিন্তু আজ সে বেত ১৫০ টাকা দিলেও পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেতের আসবাপত্র ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী জানান, তিনি পাকিস্তান আমল থেকে এ ব্যবসার সাথে জড়িত। কয়েক বছর আগেও ওড়া বা ধামার চারিদিক মজবুত করে গেড়ো দেয়ার জন্য বেত ব্যবহার করা হতো। আজ বেত অনেকটাই দু®প্রাপ্য হওয়ায় তার স্থান দখল করেছে প্লাস্টিকের তৈরি দড়ি বা রশি।

খালেকের মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষ বাড়ির আশপাশের ঝোপ-ঝাড় কেটে পরিষ্কার করে সেখানে ঘর-বাড়ি তৈরি করছে। এতে যেমন প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে একটি প্রয়োজনীয় প্রজাতির লতানো গাছ তেমনি হারাচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। কারণ, আগে যেখানে প্রতি বাড়িতেই বেত ঝাড় দেখতে পাওয়া যেত, সেখানে আজ একটি গ্রাম ঘুরলেও পাঁচটি বেতঝাড় খুঁজে পাওয়া যায় না।

তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও বাণিজ্যিক প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ গ্রামে এখনো যে সকল ক্ষুদ্র ঝোপ-ঝাড় রয়েছে, সেখানে বেত ঝাড় বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করলে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প প্রাণ ফিরে পাবে বলে অনেকেই মনে করেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হঠাৎ বাস বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সববিস্তারিত পড়ুন

স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকেবিস্তারিত পড়ুন

ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসের হাট এলাকার চাচাতো ভাইয়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • মুন্সীগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান
  • মুন্সীগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে একাধিক মামলার আসামী বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার
  • ব্যাপক ক্ষতিঃ ঝড়ে ২০০ বাড়িঘর বিধস্ত !
  • সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমের কারণে গৃহবধুর আত্মহত্যা
  • মুন্সীগঞ্জে ২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
  • মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া থেকে ৩৫টি ড্রামভর্তি গলদা চিংড়ি মাছের পোনা জব্দ করেছে কোস্টগাড
  • সিরাজদিখানে মোবাইলের জন্য কিশোরের আত্মহত্যা
  • কাউন্সিলরের অত্যাচার সইতে না পেরে গলায় ফাঁস!
  • মুন্সীগঞ্জের আতঙ্কিত এক নাম শরীফ মেম্বার
  • মুন্সীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী মর্মান্তিক মৃত্যু
  • দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
  • মুন্সীগঞ্জ শহরে আন্দোলনে নেমেছে চালক ও মালিকরা, পুলিশের লাঠি পেটা