যুক্তরাজ্যের ওয়েলশ-এর বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সি র‌্যাচেল মার্শালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নাকি ১৫ বছরের কিশোরের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতেন প্রতি সপ্তাহেই। তার এমন আচরণে প্রায় আত্মহত্যার পথে চলে গিয়েছিল ওই কিশোর।

এক আদালতে ওয়েলশ-এর বিরুদ্ধে আনা চার দফা অভিযোগগুলোর মধ্যে এছাড়াও ছিল কিশোরটিকে হুমকি দেওয়া, তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলা।

কিশোরটির সঙ্গে প্রায়শই মিলিত হতো যৌবনের উপান্তবাসিনী এই নারী। কখনও মিলন হয়েছে র‌্যাচেলের বাড়িতে। তবে বেশিরভাগ সময়েই কিশোরটিকে নিয়ে র‌্যাচেল কোনো মনোরম জায়গায় ড্রাইভ করে যেত। সেখানে গাড়ির ভেতরেই সে উপগত হতো কিশোরটির সঙ্গে। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু, বয়ঃসন্ধির স্বাভাবিক ধর্ম মেনেই কিশোরটির সঙ্গে তার সমবয়সি এক কিশোরীর রোম্যান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। র‌্যাচেল এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন মেসেজ করতে থাকে ছেলেটিকে।

এক সময়ে কিশোরটি র‌্যাচেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়। তখন নকল সোশ্যাল মিডিয়া-প্রোফাইল থেকে সে তাকে ভয়ঙ্কর হুমকিপূর্ণ মেসেজ পাঠাতে শুরু করে। কিশোরটি বিপন্ন বোধ করতে শুরু করে। এক সময়ে সে আত্মহত্যার চিন্তা শুরু করে। পরে ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

বিচারকালে বিচারক জানান, র‌্যাচেল এক সময়ে সচ্চরিত্রাই ছিলেন। কিন্তু ক্রমশ তার মধ্যে মনোবিকার দেখা দেয়।

র‌্যাচেলের পক্ষের আইনজীবী জানান, র‌্যাচেল একজন ‘আদর্শ মা’। মনোবিকারের কারণেই এমনটা ঘটেছে। তিনি এখন এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। বিচারে র‌্যাচেলকে ৪০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু র‌্যাচেল এই মুহূর্তে সন্তানসম্ভবা।

আদালত জানিয়েছে, তার সন্তান জেলেই ভূমিষ্ঠ হবে এবং তার পরের ১৮ মাস তার সঙ্গেই থাকবে। তার পরে শিশুটিকে আত্মীয়দের কাছে পাঠানো হবে।

আশ্চর্যের ব্যাপার, পুরো বিচারকার্যের সময়‌ে, এমনকী সাজা ঘোষণার সময়েও র‌্যাচেল ছিল একান্তভাবেই ভাবলেশহীন।

সূত্র : এবেলা