শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

১ বছরের শিশুটির মাথায় ১০ দিন ধরে কী গেঁথে ছিল, জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে

হাংহাংকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসার পরে প্রথম কয়েক দিন সব ঠিকঠাকই ছিল। তার পর বাবা-মা দেখেন, তাঁদের ছেলের আচার-আচরণে কেমন অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়ে, মুখ দিয়ে লালা গড়ায়, কিছু খাওয়াতে গেলেই বমি করে ফেলে।

এক দিন-দু’ দিন নয়, দশ-দশটা দিন। টানা দশটা দিন এক বছরের শিশুটির কী ভাবে কেটেছে, তা ভাবলেও এখন শিউরে উঠছেন তার বাবা-মা। এই দশটা দিন শিশুটির মাথায় গেঁথে ছিল একটি চপস্টিক, অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সেই কাঠি যা চিনা বা জাপানিরা ব্যবহার করে থাকেন।

চিনের চাওইয়াং শহরের ঘটনা। এক বছরের হাংহাং তার মা ইউ লিয়াও-এর সঙ্গে বসে চপস্টিক দিয়ে চাউমিন খাচ্ছিল, বা বলা ভাল, খাওয়ার চেষ্টা করছিল। হঠাৎই ঘুমের ঘোরে তার মাথাটা পড়ে যায় টেবিলে। হাতে ধরা চপস্টিকটি সোজা নাকের ছিদ্র দিয়ে ঢুকে যায়।

তার বাবা-মা তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যান একটি স্থানীয় হাসপাতালে। ডাক্তাররা ধীরেসুস্থে চপস্টিকটি নাক থেকে বের করে আনেন। কিন্তু স্ক্যান না করার ফলে তাঁরা বোঝেননি, চপস্টিকটির যেটুকু নাকের বাইরে থেকে তাঁরা বার করলেন, প্রায় ততটাই রয়ে গিয়েছে একরত্তি হাংহাং-এর নাকের ভিতরেও।

হাংহাংকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসার পরে প্রথম কয়েক দিন সব ঠিকঠাকই ছিল। তার পর বাবা-মা লক্ষ্য করেন, তাঁদের ছেলের আচার-আচরণে কেমন অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়ে, মুখ দিয়ে লালা গড়ায়, কিছু খাওয়াতে গেলেই বমি করে ফেলে। এই সমস্ত লক্ষণ তো তার মধ্যে আগে ছিল না! বাবা-মা হাংহাংকে আবার নিয়ে যান হাসপাতালে। এ বার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিনের নামকরা শেনজিং হাসপাতালে। সেখানে বাচ্চাটির মাথার স্ক্যান করাতেই চোখ কপালে ওঠে ডাক্তারদের। তাঁরা দেখেন, প্রায় ৬ সেমি দীর্ঘ একটি চপস্টিকের টুকরো গেঁথে রয়েছে শিশুটির মস্তিস্কে।

হাসপাতালের ডাক্তার লি শাওই বলেন, ‘এর আগে ডাক্তাররা চপস্টিকের অর্ধেকটা বার করেছিলেন। বাকি অর্ধেকটা নাসাপথে ঢুকে শিশুটির মস্তিস্কে গেঁথে গিয়েছিল। সেই কারণেই বাচ্চাটি অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। অপারেশন ছাড়া, শিশুটিকে সুস্থ করার অন্য কোনও রাস্তা আমাদের সামনে ছিল না।’

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সৌভাগ্যবশত শিশুটির মস্তিস্কের নিষ্ক্রিয় একটি অংশে চপস্টিকটি গেঁথে ছিল। তাই তেমন গুরুতর ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তাঁরা এটাও বলেন যে, আর কয়েক দিন ওই চপস্টিক মাথায় গেঁথে থাকলে শিশুটিকে বোধহয় আর বাঁচানো যেত না। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁরা চপস্টিকের অবশিষ্ট অংশটি শিশুর মাথা থেকে উদ্ধার করেন।

সেই অপারেশনের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর। সুস্থ হওয়ার জন্য অপারেশনের পরেও মাস খানেক হাসপাতালে শুয়ে থাকতে হয়েছিল হাংহাংকে। কিন্তু তার পরে সে সুস্থই রয়েছে। তার বৃদ্ধিতেও কোনও রকম বিঘ্ন ঘটেনি। সব মিলিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে পেরেছে সে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও

লজ্জা পেলে শুধু মানুষের মুখই লাল হয়ে যায় তা কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ
  • কান্না থামছিল না তাঁরঃ ‘বাবা আমি আসছি’ বলে লাশ হলেন তরুণী