অবসর সুবিধা পাবেন না মোশতাক জিয়া এরশাদ
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন ২০১৬ পাস হয়েছে। আইন অনুযায়ী ছয় মাস রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করলেও রাষ্ট্রপতিরা এসব সুবিধার অধিকারী হবেন। তবে বিলের ৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত, ‘কতিপয় ক্ষেত্রে অবসর ভাতার অধিকারের অপ্রয়োজ্যতা’ শর্ত অনুযায়ী সাবেক রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালনকারী মোশতাক আহমেদ, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এসব সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন না।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে সংসদকার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া বিলের ওপর আনীত সংশোধনী ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলোও কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালনকারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অবসর সুবিধা দেওয়ার জন্য বিলটি জনমত যাচাইয়ে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। তারা দাবি করেন, যেহেতু তিনি পরে জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, সেহেতু তিনি এসবের দাবিদার। গণভোট হলে এরশাদ এক্ষেত্রে ৮০ ভাগ ভোট পাবেন বলেও দাবি করা হয়। পরে এ বিষয়ে মন্ত্রী সংসদে জাতীয় পার্টির ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, এ বিষয়ে আপনারা চুপ থাকলেই ভালো করতেন।
বিলে অবসর ভাতা না পাওয়ার শর্তে বলা হয়েছে, এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা লাভের অধিকারী হবেন না, যদি তিনি (ক) রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠান শেষে এমন কোনো দফতরে, আসনে, পদে বা মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন বা করেছিলেন এবং সেজন্য তিনি সংযুক্ত তহবিল থেকে বেতন বা অন্য কোনো সুবিধা পাচ্ছেন বা পেয়েছিলেন; (খ) এ আইনের অধীন অবসর ভাতার প্রাধিকার অর্জন করিবার পর কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হন; অথবা (গ) অসাংবিধানিক পন্থায় বা অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বা হয়েছিলেন মর্মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ঘোষিত হন।
রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা বিল ২০১৫ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হওয়ায় প্রেসিডেন্টস পেনসনস অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯-এর কার্যকারিতা লোপ পায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করে নতুনভাবে এই বিল আনা হয়। এর আগে ২০১৩ সালে আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, অবসরকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রীয় খরচে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন এটেন্ড্যান্টসহ একটি দফতর পরিচালনার সুবিধা পাবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি। এছাড়া বাসার একটি টেলিফোনের বিল রাষ্ট্র নির্বাহ করবে। অবসরকালীন সময়ে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট লাভ করবেন।
অবসর ভাতা গ্রহণের পর মৃত্যু হলে সাবেক রাষ্ট্রপতির বিধবা স্ত্রী বা ক্ষেত্রমতে বিপত্মীক স্বামী মাসিক অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে আমৃত্যু অবসরভাতা পাবেন। এছাড়া কোনো রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতার পরবির্তে ইচ্ছা করলে অবসর ভাতার পরিবর্তে এ ধারার বিধান অনুযায়ী আনুতাষিক গ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আনুতোষিকের পরিমাণ হবে এক বছরের জন্য প্রদত্ত অবসর ভাতার ততগুণ হবে, যত বৎসর কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন
আসিফ নজরুল: কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাউ করতে পারি না
কোনোভাবেই কোনো অজুহাতেই, কোনো মোড়কেই জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে অ্যালাউ করতেবিস্তারিত পড়ুন