শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আইরিনের ‘অ্যাকশন লাভ অ্যান্ড থ্রিল

আইরিন শোবিজে কাজ শুরু করেন ২০০৮ সালে। শুরুতে যুক্ত ছিলেন র‌্যাম্প মডেলিং, টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপন চিত্রের সঙ্গে।

গত বছর মুক্তি পায় তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ভালোবাসা জিন্দাবাদ। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকদের সামনে আসেন আইরিন। আগামীকাল শুক্রবার আইরিন অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ইউটার্ন মুক্তি পাচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে। ইউটার্ন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন আইরিন।
আরেকটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে? কেমন লাগছে?

সত্যি কথা হলো আমার খুবই নার্ভাস লাগছে। ইউটার্ন আমার মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এই ছবির জন্য ক্যারিয়ারে অনেক বড় একটা ঝুঁকি নিয়েছি। দর্শকেরা আমাকে কীভাবে নেবেন তা নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছি। প্রথম ছবিতে দর্শকেরা আমাকে রোমান্টিক ছবির নায়িকা হিসেবে দেখেছেন। দর্শকেরা আমাকে ভালোবাসাও দিয়েছেন। এই ছবির ব্যাপারটা পুরোপুরি উল্টো বলতে পারেন। আমি চাইব, দর্শকেরা ভালোবাসা দিয়েই নতুন ছবিটিও দেখুক। আমি যেন আমার চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করতে পারি।

এই ছবিতে আপনার অভিনীত চরিত্র…আমার চরিত্রের নাম আনুশকা। টিভি চ্যানেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী। তাঁকে ঘিরে ছবির কিছু ঘটনা আছে। আপাতত এর বেশি কিছু প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।

আপনার এই ছবিটি কী ধরনের? রোমান্টিক নাকি…ইউটার্ন অ্যাকশন থ্রিলার ধর্মী একটি চলচ্চিত্র। তবে এখানে রোমান্টিক ব্যাপারও আছে। আছে একটি আইটেম গানও। আশা করছি দর্শকেরা ভিন্নমাত্রার কিছু একটা দেখবেন।

ভিন্নমাত্রা বলতে …আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা নিয়মিতভাবে রোমান্টিক ছবি দেখে অভ্যস্ত। আমাদের এখানে অ্যাকশন ফিল্ম খুব একটা হয় না। সে জায়গা থেকে প্রত্যাশাটা একটু বেশি। আমার বিশ্বাস দর্শকের ছবিটি উপভোগ করবেন।
আপনার কেন মনে হয় এই ছবিটি দর্শক হলে গিয়ে দেখবে? প্রথমত বলতে চাই, এই ছবির গল্প ছবির অন্যতম বড় একটা শক্তি। সুন্দর সুন্দর লোকেশন এই ছবি চিত্রায়িত হয়েছে। অনেকগুলো নতুন মুখ এই ছবিতে কাজ করেছেন। সবাই অনেক পরিশ্রম করেছেন। ছবিটির কাজ নিয়ে আমরা সবাই বেশ সন্তুষ্টও বলতে পারেন। একজন দর্শক হিসেবে আমি যে ধরনের ছবি দেখতে চাই, ইউটার্ন তেমনই একটা ছবি। অ্যাকশন, লাভ অ্যান্ড থ্রিল-এই তিনটা বিষয় দর্শককে আকর্ষণ করে।

ছবির শুটিংয়ে অনেক জায়গায় যেতে হয়েছে। শুটিংয়ের সময়ের কোনো মজার ঘটনা পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করতে চান কী?
মজার ঘটনা না, একটা কষ্টের অভিজ্ঞতা পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমরা ছবির একটি গানের শুটিংয়ের জন্য বান্দরবানে গিয়েছিলাম। পাহাড়ি ঢালু এলাকায় দৌড়ানোর দৃশ্য। কয়েকবার দৌড়াতে হয়েছে। উঁচু হিল আর গাউন পরে দৌড়াতে এত কষ্ট হয়েছে একটা সময় তো আমি উঠে দাঁড়ানোরও শক্তি পাচ্ছিলাম না।

নতুন ছবি তো মুক্তি পাচ্ছে, এখন আপনার ব্যস্ততা কি নিয়ে?
আইরিনআমি এখন ছবির কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করছি। কাজ করছি সুস্ময় সুমনের ‘তোকে হেব্বি লাগছে’, এস এ হক অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’ এবং সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’ ছবিতে কাজ করছি। কাজ শেষ হয়ে আছে ‘ছেলেটি আবল তাবল মেয়েটি পাগল পাগল’ এবং ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির।

টিভি নাটকেও তো কাজ করেছেন…টেলিভিশন নাটকে খুব কম কাজ করেছি। বড় পর্দায় কাজ শুরুর পর থেকে টিভি নাটকের কাজ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। আমার সব চিন্তা-ভাবনা আর স্বপ্ন এখন চলচ্চিত্রকে ঘিরে। চলচ্চিত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি।
চলচ্চিত্র নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। নিজের প্রস্তুতি কেমন?

ভালোবাসা জিন্দাবাদ ছবির সময় আমি নাচ খুব একটা পারতাম না। চলচ্চিত্রে নায়িকার জন্য নাচ জানাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। আমি নাচ শেখার প্রতি জোর দিলাম। নৃত্যপরিচালক ইউসুফ ও হাবিব ভাইয়ের কাছ নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। অভিনয়ের জায়গাটা উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। সময় পেলেই ছবি দেখি। সিনিয়র অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে শেখার, জানার চেষ্টা করি।
শোবিজে আপনার কাজের শুরু সম্পর্কে কিছু বলুন

আমার পরিবারের কেউ শোবিজে কাজ করেনি। তবে আমার নিজের একটা আগ্রহ ছিল। ২০০৮ সালে ‘প্যানটিন ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখাই। এটা ছিল, নিতান্তই আমার নিজের আগ্রহ থেকে। ওই প্রতিযোগিতায় আমি ‘বেস্ট স্মাইল’ নির্বাচিত হই। এরপর মডেলিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর তো আব্বু-আম্মু দুজনেই উৎসাহ দেন।

আপনি একসময় র‌্যাম্পে কাজ করতেন। সিনেমায় অভিনয়ে আগ্রহী হলেন কেন?
মডেলিংও কিন্তু শোবিজের একটা অংশ। শোবিজের সবচেয়ে বড় ক্যানভাস হচ্ছে ফিল্ম। যেহেতু আমি শোবিজে কাজ করছি একটা সময় মনে হলো, চলচ্চিত্রে সুযোগ পেলে সেখানে কাজ করাটাই তো ভালো। বড় পর্দার প্রতি আমার একটা স্বপ্ন তৈরি হয়। প্রথম ছবি যখন রিলিজ হলো তখন সবাই এত প্রশংসা করল যে আগ্রহটাও অনেক বেড়ে গেল।

এখন মানুষ সিনেমা হলে যেয়ে আপনার ছবি দেখছে। আপনি ছোটবেলায় হলে যেয়ে কারও ছবি দেখেছেন?
আমি তখন যশোরে থাকতাম। ছোটবেলায় আম্মু আর খালামনিদের সঙ্গে সালমান শাহ্‌র ‘তুমি আমার’ ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। এই ছবির একটি গান ছিল, ‘জ্বালাইয়া প্রেমের বাত্তি কোথায় তুমি থাকো রে’-এটি আমার ভীষণ প্রিয় একটি গান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন

বলিউড অভিনেতা অজয় ​​দেবগন এবং কাজলের কন্যা নাইসা দেবগন সেইবিস্তারিত পড়ুন

চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা

অভিনেত্রী সীমানার দীর্ঘ লড়াই শেষ। ফিরল না জ্ঞান। মাত্র ৩৯বিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন
  • সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *