আজ থেকে শুরু টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা

টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দাওয়াতে তাবলিগের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। অর্ধশতাধিক দেশের কয়েক লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন। বয়ান, কারগুজারি, তাশকিল, তালিম, তিলাওয়াত, জিকির ও সালাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আজ দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে এখানে। আশা করা হচ্ছে, পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লি এ জামাতে শরিক হবেন।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন। এতে তারা ইজতেমার সাফল্য কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে আশা প্রকাশ করেছেন, এ মহান সমাবেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে।
ময়দানে মুসল্লিদের স্রোত। ট্রেন, নৌকা, বাস, ট্রাক, স্কুটার, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে তারা জড়ো হচ্ছেন তুরাগ তীরে। টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ও অবস্থান নিচ্ছেন অনেকে।
ইজতেমায় মূল বয়ান হচ্ছে আরবি ও উর্দু ভাষায়। বাংলা ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় সঙ্গে সঙ্গেই অনুবাদ করা হচ্ছে তা। এতে আল্লাহর বড়ত্ব, নবীজীর (সা.) সুন্নাত, মুসলমান ও শেষ নবীর উম্মত হিসেবে করণীয়, দাওয়াতের মেহনতের তরতিব এবং দৈনন্দিন জীবনে অত্যাবশকীয় আমলগুলো নিয়ে আলোচনা করছেন তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিরা।
এ পর্বে ২৭ খিত্তায় ১৭ জেলার মুসল্লিরা অবস্থান করছেন। ঢাকা জেলার মুসল্লিরা ১-৬ নম্বর খিত্তায়, শেরপুর ৭, নারায়ণগঞ্জ ৮ ও ১১, নীলফামারী ৯, সিরাজগঞ্জ ১০, নাটোর ১২, গাইবান্ধা ১৩, লক্ষ্মীপুর ১৪ ও ১৫, সিলেট ১৬ ও ১৭, চট্টগ্রাম ১৮ ও ১৯, নড়াইল ২০, মাদারীপুর ২১, ভোলা ২২ ও ২৩, মাগুরা ২৪, পটুয়াখালী ২৫, ঝালকাঠি ২৬ এবং পঞ্চগড় জেলার মুসল্লিরা রয়েছেন ২৭নং খিত্তায়।
আয়োজক মুরব্বিদের একজন গিয়াস উদ্দিন জানান, বুধবার থেকে দেশী-বিদেশী মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবারই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। যারা পথে রয়েছেন, বিশেষ করে বিদেশী মেহমানদের একটি অংশ রাতের মধ্যেই চলে আসবেন।
ইজতেমার পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ ও র্যাবের প্রায় ১২ হাজার সদস্য। র্যাব ও পুলিশ পৃথকভাবে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করছে। এছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানের সব প্রবেশপথে ৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও বিভিন্ন পয়েন্টে ১৩টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।
গাজীপুর স্বাস্থ্য বিভাগ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ইবনে সিনা, টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি, আবেদা মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল, সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজিস্ট হসপিটাল, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদফতর চিকিৎসা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মুসল্লিদের সেবা দিতে ময়দানের আশপাশে ৫৪টি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে। টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল একশ’ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও শতাধিক দেশের বিদেশী মুসল্লি ইজতেমায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তান, ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আফ্রিকাসহ অর্ধশত দেশের মুসল্লি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ময়দানে এসেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘ধর্ষণ-হত্যার হুমকি’র বিচার চেয়ে রাস্তায় মা-মেয়ে
ধর্ষণ, হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুবিচারবিস্তারিত পড়ুন

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত
দেশে খাদ্যের মজুত বৃদ্ধিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টনবিস্তারিত পড়ুন

‘ঢাকার অলি-গলিতে মোটরসাইকেল টহল বাড়ানো হবে’
অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা জোরদার করতে ঢাকার অলিতে-গলিতে মোটরসাইকেল টহলবিস্তারিত পড়ুন