আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের সাবেক নিয়মগুলো বদলে যাচ্ছে। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব সর্বত্র।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে সোচ্চার পরিবেশবিদেরা । এমন একটি অবস্থার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘অধিকতর উষ্ণ, শুষ্ক ও সিক্ত ভবিষ্যৎ মোকাবেলা করুন’।
১৯৬১ সাল থেকেই দিবসটি পালন হচ্ছে জাতিসঙ্ঘের ইউএনআইএসডিআরের ব্যানারে। বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন তথা আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করছে দীর্ঘ দিন ধরে। বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। শীত, গ্রীষ্ম অথবা বর্ষাকালের ধরনে পরিবর্তন এসেছে অনেক। চলতি মার্চ মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। গত শীত মওসুমটি ছিল স্বল্পকালের। অল্প কয়েকদিন ছাড়া তেমন শীত পড়েনি। অপর দিকে বাংলাদেশে ঘন কুয়াশা পড়ার পরিমাণ ও সময় বেড়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জীবন প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন ও এর প্রভাব আজ সুস্পষ্ট। রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হ্রাসে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরিবেশের উন্নয়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় তাঁর অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জাতিসংঘ ‘চ্যাম্পিয়নস্ অভ্ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব প্রেক্ষাপটে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস, বিজ্ঞানভিত্তিক জলবায়ু তথ্য ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি যাচাই, মওসুমভিত্তিক পূর্বাভাস, তাৎক্ষণিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং এসব সেবা গ্রাহকদের কাছে যথাসময়ে পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঠিক এবং আগাম পূর্বাভাস ব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নয়ন ও আবহাওয়া সার্ভিসের আধুনিকায়ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সহায়ক হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আধুনিক আবহাওয়া সেবা এবং কার্যকর আগাম সর্তকতা ব্যবস্থা গড়ে তুললে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দেশের অসংখ্য মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন