শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘আব্বা, তুমি ভিক্ষা করে টাকা পাঠাও, নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’

“আব্বা, তুমি ভিক্ষা করে টাকা পাঠাও। নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে মেডিকেলে নিয়ে আমার কিডনি বিক্রি করে ফেলবে।”

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-৩-এর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই ছেলের দুঃসহ প্রবাসজীবনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন সিলেটের দরিদ্র কৃষক কনু মিয়া। চাকরির নামে বিদেশ পাঠিয়ে কানুর ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করছিল পাচারকারীরা।

কানু জানান, ছেলেকে মুক্ত করতে নিজের শেষ সম্বল দুই কানি জমি দেড় লাখ টাকা, বিয়াইয়ের দেওয়া গরু সাড়ে ১৭ হাজার টাকা বিক্রি করেও পাচারকারীদের চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের শরণাপন্ন হন। তিনি বলেন, “আমার সব শেষ, আর কিছু নেই।”

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার।

এর আগে সুদান ও লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- আবদুল কাইয়ুম, খোকন আহমেদ আজগর ওরফে আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাসির উদ্দিন, ফারুকুল ইসলাম রাসেল, মো. রুবেল হাওলাদার ও মো. বাদল হাওলাদার।

খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, “ছেলে সমর আলীকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কানু মিয়াকে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন পাশের গ্রামের দিদার খাঁ। সাড়ে চার লাখ টাকায় ছেলেকে লিবিয়ার ভিসা দেয়া হবে বলে রফা হয়। সে অনুযায়ী বিমানবন্দরের ওপেন হোটেলে কাইয়ুমকে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন কনু মিয়া। বাকি দুই লাখ টাকা বিদেশে যাওয়ার পর দেয়া হবে বলে মৌখিকভাবে চুক্তি হয়। জাল পাসপোর্ট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ভিজিট ভিসায় সমর আলীকে সুদানে পাঠায় ওই চক্রটি। এর দুই দিন পরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে সমর আলী তার বাবাকে ফোন করে বলেন, “আব্বা আমি সুদানে আসছি। কিন্তু কাইয়ুমের লোকজন আমাকে মারধর করছে।” এরপর কনু মিয়া ঢাকায় এসে কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে চার কিস্তিতে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু তার পরও কাইয়ুম তার কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল কাইয়ুম, ফারুকুল ইসলাম রাসেল ও জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগিতায় খোকন সুদানে অবস্থানকারী শাহিন, দেলোয়ার, অলিল, সোহাগ, জহির ও লিটন- এই চক্রের সহযোগিতায় সুদানে দুই-তিন মাসের ভিজিট ভিসার ব্যবস্থা করে দেয়। যে নামে ভিসা বের করত, কাইয়ুম সেই নামেই জাল পাসপোর্ট তৈরি করত। রুবেল ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করত। অন্যদিকে কাইয়ুমের অপর সহযোগী টিকেট করে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার করার বিষয়ে সহযোগিতা করত। খোকন প্রথমে সুদানে যাত্রীদের আটক রেখে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। পরে পাসপোর্ট নিজেদের কাছে নিয়ে লিবিয়ার একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ট্রাকে করে লিবিয়ায় পাচার করত।

খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, কানু মিয়ার ছেলে সমর আলী এখন লিবিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসে আছেন। সমর আলী শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজায় অনাহারে ২ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু
  • যুক্তরাষ্ট্রে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের ভিসার মেয়াদ
  • সিগারেটের আগুন থেকে দাবানল, সাইপ্রাসের ১০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে ছাই
  • চবিতে ফের স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ-ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সহ-উপাচার্যসহ আহত ১০
  • রাকসু কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তালা-ভাঙচুর
  • স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১,৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
  • স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কথা মাথায় রেখেই দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে
  • বিএনপি সুশাসনে ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে
  • ভাতার ১ম কিস্তি শুরু; গর্ভবতী ভাতার আবেদন শর্ত
  • ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস কার্যকর হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে