শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

‘আমলাতন্ত্রকে ভেঙে গণমুখী বাজেট তৈরির আহ্বান’

জাতীয় বাজেটকে গণবান্ধব ও কর্মসংস্থানমুখী করতে হলে তেভাগা পদ্ধতিতে যেতে হবে। তেভাগা মানে হলো প্রথমত- উৎপাদনমুখী, দ্বিতীয়- ভৌত-কাঠামো এবং তৃতীয়ত- সামাজিক উন্নয়ন। এ পদ্ধতিতে আমলানির্ভর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে গণমুখী বাজেট তৈরি করতে হবে। এ জন্য অংশগ্রহণ ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। 

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের উদ্যোগ “বাজেট ও যুব সমাজের ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমলাতন্ত্রকে ভেঙে জনগণের শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। অসৎ আমলা, অসৎ রাজনীতিবিদ ও অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে বামপন্থী শক্তিদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 

সেমিনার পেপারে বলা হয়, যুবকরাই বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কাক্সিক্ষত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের কাজ করছে। উন্নয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিন্তু সরকার প্রবৃদ্ধির আসক্তিতে আচ্ছন্ন। যেকোনো প্রক্রিয়ায় প্রবৃদ্ধির সূচক সংখ্যা পূরণে সরকারের যে চেষ্টা, তা কি ব্যর্থতা আড়ালে কৌশল? যে উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না, তা যতই চকচকে হোক না কেন, প্রকারান্তরে তার জোর কম। দেশর কর্মক্ষম যুব জনগোষ্ঠীকে কাজের বাইরে রেখে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে তাই বিশাল তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্যতম একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। 

সেমিনার পেপারে আরও বলা হয়, ‘কর্মসংস্থান কমিশন’ গঠন। ওই কমিশন বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব। তাছাড়া স্বয়ংক্রিয় অনলাইন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের নিবন্ধন নিশ্চিত করে, তাদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও চাহিদা অনুযায়ী কাজের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া এ কমিশন দেশে কর্মশক্তিকে ভবিষ্যতের যেকোনো পর্যায়ের জাতীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারে। নাহলে কর্মসংস্থান সংকট থেকে স্থায়ী মুক্তি সম্ভব নয়। 

এছাড়াও সেমিনারে সংগঠনের পক্ষে ১৬টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ, যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, হাফিজ আদনান রিয়াদ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা সুমা আক্তার, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবীর স্বপন, বিপ্লবী যুব মৈত্রীর সভাপতি সৈয়দ মাশুক শাহী, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্র নাথ সিং, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শুহাইল আহম্মেদ শুভ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মানুষের দেওয়া কর অনেকাংশেই সরকারের নিকট পৌঁছায় না, ফলে বাজেটে সরকার অনেক ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। বাজেট দেওয়ার পর বরাদ্দের কোনো পরিবর্তন করা হয় না। কিন্তু বাজেট বরাদ্দের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় যে, কোন কোন খাতে বাজেটে বরাদ্দ কাজ করবে না। এই সিন্ডিকেট থেকে বের হতে হবে। শিক্ষা হোক বা কর্মসংস্থান হোক কোথায় বরাদ্দ কাজে লাগাবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যয়ের কতভাগ বাস্তবে জনগণের কাজে লাগছে সেটা বের করা জরুরি। গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা বলেন, বাজেটে গণতান্ত্রিক বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এমন গোপনীয়ভাবে এটা করা হয় যেন সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন বলেন, সমাজের যুবকদের একটা বিরাট অংশ নিষ্ক্রিয়। এদের মধ্যে মাদকাসক্তির একটা প্রভাব বাড়ছে, যা সমাজের জন্য ভয়াবহ। নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে অনেক জায়গাতেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। যেমন- গৃহপরিচারিকা, চা-শ্রমিক এরা কর্ম নিয়ে অনিরপত্তার মধ্যে থাকে। যখন তখন কর্মী ছাঁটাইয়ের আন্দোলন জোরালো করতে হবে। শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে যাওয়ার একটা অনীহা দেখা যায়। এর কারণ কর্মক্ষেত্রে অমর্যাদাপূর্ণ অবস্থা। সরকারি চাকরি এখন শুধু স্থায়ী চাকরি নয়, ক্ষমতা, অবৈধ উপার্জন, বিলাসী জীবন এসব দায়ী। 

কর্মক্ষেত্রের সব জায়গাকে সমসম্মানের করতে পারলে এই নির্ভরশীলতার জায়গা থেকে বের হয়ে আসা যাবে। বক্তারা বলেন, যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি গণমুখী ও কর্মমুখী বাজেট প্রণয়ন করা জরুরি। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শ্রমবাজারের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ এ যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা প্রয়োজন।

যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খান আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন। 

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

টানা তিন দিন মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি

দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা তিন দিন ধরে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাবিস্তারিত পড়ুন

বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
  • রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
  • ছাত্রপক্ষের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক জিহাদ, সদস্যসচিব হাসিব
  • আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুবিতে বিক্ষোভ
  • ভারি বৃষ্টির আভাস ৪ বিভাগে, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
  • সরকারের জিম্মি থেকে দেশ ও জনগণ মুক্তি চায়: রাশেদ প্রধান
  • সতর্কবার্তা যাচ্ছে কোটা আন্দোলনে
  • পাকিস্তানের সংসদে পিটিআইকে সংরক্ষিত আসন দিতে আদালতের নির্দেশ
  • তিন দিন পর সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক