আমাকে সরাসরি থ্রেট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
“কোনো একজন বিশেষ ব্যক্তির একটা ব্যাংকের এমডির পদে থাকা, না থাকার ওপর আমাকে সরাসরি থ্রেট করা হয়েছে। আমেরিকার অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আমাকে বলেছেন, ওই পদ দেয়া না হলে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়া হবে।” ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে না রাখলে পদ্মাসেতু প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার সরাসরি হুমকি দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় ২৭তম কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা জানান। তিনি আরও বলেন, ওই পদের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। তিনি মামলা করে হেরে গেছেন, এর দায় কি সরকার বা বাংলাদেশের জনগণ নেবে? বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, যে যত বাধাই দিক না কেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষার বিস্তারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে, এ কাজে সমাজের ধনী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সু-শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনও দেশ গড়া সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানদের নিজ নিজ গ্রামের দিকে তাকাতে, এলাকার দিকে তাকাতে বলবো, মানুষকে সহযোগিতা করতে বলব।
পদ্মা সেতু নির্মাণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে একটা দেশ স্বাধীন করতে পারি, তবে একটা সেতু নির্মাণ করতে পারব না?` সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছিলেন। তবে শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদ তা বরাবর অস্বীকার করে আসছেন ।
বয়সসীমা পার হওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালে ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়েও হেরে যান ইউনূস। সে সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। পরে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাইলেও টানাপোড়েন চলতে থাকে। এক পর্যায়ে বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সরকার
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যে বাংলাদেশকে নিয়ে স্বাধীনতার পর অনেকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেছে, আজকে বাংলাদেশ আর সেই জায়গায় নেই। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। যে সংগঠন গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিজয় এনেছে আজকে সেই সংগঠন সরকারে আছে বলেই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কাজ করছি বলেই উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, কাজী মাহবুব উল্লাহ স্মৃতি পদক পাওয়া চারজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, গবেষণায় অধ্যাপক হাসিনা খান, সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় লেখক আনিসুল হক এবং খেলাধুলায় বিশেষ অবদানের জন্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা এ পদক লাভ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কিবরিয়া হত্যাসহ চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বাবর
বিএনপি সরকারের আলোচিত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জামিন পেয়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে নাশকতাকারী সন্দেহে দুজন আটক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহবিস্তারিত পড়ুন
জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছে: ফরিদপুরের নবাগত ডিসি
ফরিদপুর জেলাবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে সবসময় চেষ্টা করবেন জানিয়ে নবাগতবিস্তারিত পড়ুন