রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘আমার তনুকে কি তাহলে জিনে মেরেছে?’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘ডাক্তাররা কী রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি জানি না। আমি আমার মেয়ের রক্তাক্ত দেহ সিএমএইচে নিয়ে গেছি। আমার মেয়ে খুন হয়েছে, এখন ডাক্তাররা এসব কী বলছে? তাহলে কি আমার তনুকে জ্বিনে মেরেছে?’

তনুর প্রথম দফা ময়নাতদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন ইয়ার হোসেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের হয়ে আসবে। তনুর হত্যার বিচারে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।’

তনুর প্রথম দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত মেলেনি এবং মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণও উল্লেখ নেই। সোমবার (৪ এপ্রিল) প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই প্রতিবেদনটি জমা দেন।

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তনুর শরীরে যে দুইটি আঘাত ছিল তা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট নয়, তাছাড়া তাকে ধর্ষণেরও আলামত মেলেনি।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ও ডিবির পর এখন মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডির তদন্ত দল।

সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো: ইব্রাহিম জানান, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছেন। তবে মামলার বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ বলতে না পারা ও ধর্ষণের আলামত খুঁজে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বিকালে কুমিল্লা টাউন হলের সামনে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী তনু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

বক্তারা প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কার চাপে চিকিৎসকরা এ রকম প্রতিবেদন দিলেন তা জাতিকে জানাতে হবে।’ তারা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে সাজানো বলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

তনু হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুমিল্লার লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।

৯ দিনেও সোহাগের খোঁজ মেলেনি

এদিকে, ৯ পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তনুর ভাই আনেয়ার হোসেনের বন্ধু সোহাগের। সেনানিবাস সংলগ্ন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নারায়ণসার গ্রামের মিজানুর রহমান সোহাগকে (২১) ২৭ মার্চ রাত দেড়টার দিকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

সোহাগের বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তনুর হত্যার বিচার দাবিতে সোহাগ আন্দোলন করেছিল। তাই হয়তো সোহাগকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। ৩০ মার্চ বুড়িচং থানায় সোহাগ নিখোঁজ জানিয়ে সাধারণ ডায়রি করে তার পরিবার।

বুড়িচং থানার ওসি উত্তম কুমার জানান, সোহাগের নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।-বাংলা ট্রিবিউন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জেনে নিন শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকাবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতাদের অতিথি না করায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানেবিস্তারিত পড়ুন

নতুন ভিসা পাওয়া সৌদি-মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের বিশেষ ভাড়া

যারা প্রথমবার সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যাবেন তাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ঈদ-উল-ফিতরের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া
  • রবিবার মহাসমাবেশের ঘোষণা প্রাথমিকের নিয়োগ বঞ্চিতদের
  • ৩ হাজার কোটি টাকার ‘সুকুক’ বন্ড ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ‘বাহাত্তরের সংবিধান অবৈধ, এটি প্রণয়ন করেছিলেন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্যরা’
  • ধানমন্ডি ৩২: চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড়
  • আসিফ নজরুল: সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ নেই
  • গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে গুলি
  • ১৬ জুলাই পালিত হবে শহিদ আবু সাঈদ দিবস
  • ফারুকী: আমরা মব জাস্টিসে বিশ্বাস করি না
  • কুষ্টিয়ায় মাংসের বদলে ঝোল দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৪
  • উপদেষ্টা: অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাপী বিপুল সমর্থন পেয়েছে
  • ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন: শনিবার বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক