রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ইসি পুনর্গঠনে ২০ দলীয় জোটের প্রস্তাব চূড়ান্ত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন, শক্তিশালীকরণসহ আগামী সাধারণ নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে নতুন প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের অবস্থান এবং নতুন এই প্রস্তাবনা জাতির সামনে তুলে ধরবেন।

জোট ও দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এমতাবস্থায় ইসি পুনর্গঠনসহ আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে করণীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিএনপি ও বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। গত বৃহস্পতিবার রাতেও গুলশান কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন বেগম জিয়া। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ইসি পুনর্গঠনের ব্যাপারে বিএনপি তথা বিশ দলীয় জোটের করণীয় নিয়ে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করেছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আগে দুই-এক দিনের মধ্যে বিশ দলীয় জোট এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বিএনপি ও বিশ দলীয় জোটের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে নতুন প্রস্তাবনা দিতে চায় বিএনপি। নতুন নির্বাচন কমিশনারেরা যাতে সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হন এবং কমিশন যাতে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারে সে জন্য একটি কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার বাছাই করার প্রস্তাবনা দেয়া হবে। মতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রতিনিধি, বিরোধী দল বিএনপির একজন প্রতিনিধি, একজন বিশিষ্ট নাগরিক, একজন বিচারপতি এবং একজন সচিবকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া কমিটিতে প্রয়োজনে আরো দু-একজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই কমিটি সর্বসম্মতভাবে যাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য মনে করবে তাকে নিয়োগ করা হলে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো দলের পে আর অভিযোগ আনা সম্ভব হবে না বলে মনে করছে বিএনপি। ফলে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপে নির্বাচনের েেত্র বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

ইসি পুনর্গঠনের ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেগম জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠকে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ব্যাপারে নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপে হতে হবে। কমিশনের সাথে যুক্ত যারা, তাদের নিরপে হতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপে হতে হবে। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

তিনি বলেন, কিভাবে এটা সম্ভব, কোন প্রক্রিয়া করা যায়Ñ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমাদের নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন। এটা আমাদের দলের প থেকে এবং ২০ দলের নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে প্রস্তাবটি দেয়া হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ, নির্লোভ ও সাহসী, যারা সংবিধান ও প্রচলিত আইন ছাড়া কারো কাছে নতি স্বীকার করবেন নাÑ এমন মানুষদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়া দরকার। তাহলেই সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সঠিক রায় আসার সম্ভাবনা থাকবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের দলের যে অবস্থান তা কম সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন। বিএনপির প থেকে বাংলাদেশের জনগণের ভোট নিশ্চিত করার জন্য, ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে যেটা নির্বাচনী ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে, একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার, সংসদ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব বিএনপির প থেকে অতিসত্বর দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। নতুন কমিশন নিয়োগে ইতোমধ্যে আগের মতো এবারো ‘সার্চ কমিটি’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে নামের সুপারিশ তৈরি করতে চার সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হন হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান। এই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী রকীব উদ্দিন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো: জাবেদ আলী ও মো: শাহনেওয়াজের প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুসারে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। এই কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ১৫৩ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু

দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন

  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস