উঠতি তারকাদের প্রতি প্রিয়তির বার্তা
পেশায় বৈমানিক, আর নেশায় মডেলিং। অভিনয়ও করছেন। বাংলাদেশের মেয়ে মাকসুদা আকতার প্রিয়তি আয়ারল্যান্ডের সেরা সুন্দরীদের একজন। ২০১৪ সালে তিনি নির্বাচিত হন ‘মিস আয়ারল্যান্ড’। বহু বছর থেকে আয়ারল্যান্ডেই থাকছেন। গত অক্টোবরে জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত ‘মিস আর্থ ২০১৬’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ হন তিনি। মেধা আর সৌন্দর্যের অপরূপ সমন্বয় প্রিয়তি সুযোগ পেলেই প্রাণের টানে ফিরে আসেন ঢাকায়। বাংলাদেশের মিডিয়া, গণমাধ্যমের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তিনি। মিডিয়া অঙ্গনের মেয়েদের ভুল-ত্রুটি, বাস্তবতাসহ নানা দিক নিয়ে সচেতনতামূলক একটি নিবন্ধ লিখেছেন প্রিয়তি। সেটা প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। প্রিয়তির সেই লেখা হুবহু প্রকাশ করা হলো—
‘একটা সচেতনতামূলক কাজে আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। যদিও আমার পক্ষে এই মুহূর্তে এতটুকু করা ছাড়া তেমন উপায় নেই। আমাদের দেশের মেয়েরা মোহের বশে কোনো মডেল, অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, খেলোয়াড় সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি শারীরিকভাবে অনেক বেশি। রঙিনভাবে পৃথিবী দেখে ওরা বাস্তবতা বুঝতে পারে না। আকাশ আর মাটির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও আমাদের সেই দূরত্ব কমানো উচিত। ওরা অনেকভাবে না বুঝে ভুল করে ফেলছে।
অনেকে আমাকে ভালো করে না চিনলেও আমাকে বিশ্বাস করে আমাকে ইনবক্স করে আমার সঙ্গে শেয়ার করেছে তাদের গল্প। অনেকে না বুঝে ভুল করে প্রেগন্যান্ট হয়ে যাচ্ছে বড় বড় সেলিব্রিটিদের সঙ্গে, তারপর এবরশনের পথে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ জানাজানি হলে সবাই মুখ ফিরিয়ে নেবে। এবং এটাই হয় বাস্তবে। যাই হোক, আমি শুধুমাত্র মেয়েদের নয়, সবাইকেই পজিটিভভাবে একটা মেসেজ দিতে চাই। আমার এখানে সময় রাত ৩টার কাছাকাছি। আমি বসে বসে আপনাদের কাছে লিখছি কারণ আমি আসলেই তাদের জন্য ভাবি। ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য।
কে আমি? একজন মডেল, অভিনেত্রী? অথবা তারকা, লেখক, নির্মাতা কিংবা বড় খেলোয়াড়? অনেকেই আছে যারা আমাকে চেনে না, কিন্তু তারকাখ্যাতির জন্য অনেকে আমার ব্যাপারে উৎসাহী। আমার খ্যাতিকে বাদ দিলে আমার মধ্যে পরিচিতির কি অবশিষ্ট থাকে? মানুষ হিসেবে আমার যোগ্যতা এবং ইতিবাচক দিক আসলে কী? আমার পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতা থেকে আমি কি শিখতে পেরেছি? আমি কি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো ভালো কাজে ব্যবহার করেছি? আমি নিজেকে কতটুকু উন্নত করতে পেরেছি? আমি অন্যদের সঙ্গে কেমন আচরণ করি? মানুষের জন্য আমি কতটুকু সহায় এবং সৎ? আমার জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি আমি সবাইকে বোঝাতে পেরেছি? আমি নিজে এই সুসভ্য নগরের মানুষদের সঙ্গে কতটুকু মানিয়ে নিতে পেরেছি? আসলে তারকারা তাদের কাজ এবং পেশা দিয়েই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই ভালো মানুষ হন, সেটি আপনার কাজের মাধ্যমেই ফুটে উঠবে। অন্যদের প্রতি মৌলিক যে গুণাবলি যেমন- সততা, সহায়তা, সত্যতা, স্বচ্ছ্তার মতো মানবিক ব্যাপারগুলোও মানুষের মাঝে থাকা জরুরি। যখন আপনার ভেতর এই গুণাগুণগুলো থাকবে, তখনই আপনি আপনার খ্যাতি উপভোগ করুন। কিন্তু তারকা খ্যাতি পাওয়ার জন্য নিজের মানবিক বিষয়গুলোর সঙ্গে সমঝোতা করা ঠিক নয়। যারা তারকাদের কাজে মুগ্ধ, তাদেরও এটি মনে রাখা উচিত যে, তাদের মেধা ও খ্যাতি পাওয়ার আগে তারাও সাধারণ মানুষের মতোই ছিল। অন্যদের মতো তাদেরও সব মানবিক দিক আছে, পাশাপাশি অন্যান্য দোষগুণও আছে।
ভুল এবং দুর্বলতা মানুষের অংশ। তারকাদের ভুল বেশি ধরা পড়ে কারণ তাদের জীবনের প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। এর একটি ভালো দিকও আছে। যেমন, তারকারাও নিজেদের সম্পর্কে সচেতন থাকে, যাতে ভক্তদের সামনে তাদের ভুল না আসে। খারাপ দিক হচ্ছে, অনেক সময় ভক্তদের জন্য তারকারা নিজেদের আবেগকে বিসর্জন দেয়। সাধারণ মানুষকেও বুঝতে হবে, জগতে কেউই নির্ভুল নয়। মেধাকে যেমন শ্রদ্ধা করা উচিত, তেমনি তারকাদের স্বাভাবিক মানবিক ভুলত্রুটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত। নিজেকে মোহগ্রস্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা উচিত। নকল পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। নিজের নিরাপদ আর সম্মানকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন
বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন এবং কাজলের কন্যা নাইসা দেবগন সেইবিস্তারিত পড়ুন