একের পর এক হার দেখে হতাশ কুমিল্লা সমর্থকরাও, হতাশ টিম ম্যানেজম্যান্টও
বিপিএল এর চতুর্থ আসরে টানা চার ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ বিপিএলে দুষ্টু ভাগ্য যেন পিছু ছাড়ছে না কুমিল্লার। একের পর এক হার দেখে হতাশ কুমিল্লা সমর্থকরাও। হতাশ টিম ম্যানেজম্যান্টও।
এবারের আসরে কুমিল্লার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সম্ভবত ব্যাটিং এ। ওপেনিং এ কায়েসের সঙ্গী বদল হয়েছে কিন্তু ওপেনিং জুটি তিন ম্যাচেই থেমেছে ১০ এর নিচে। শেষ ম্যাচে আসে সর্বোচ্চ ৩০ রান। পাওয়ার প্লেতে কমপক্ষে দুটি করে উইকেট হারিয়েছে প্রতি ম্যাচেই। ব্যাটিং এ দেখা গেছে অনভিজ্ঞতার ছাপ। থিতু হয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন অনেক ব্যাটসম্যান। চার ম্যাচে ফিফটি একটি। প্রথম ম্যাচে নাজমুল হক শান্ত’র। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা।
ব্যাটিং এ অভিজ্ঞ স্যামুয়েলস মেলে ধরতে পারেন নি নিজেকে। গত আসরে যেখানে তিন ম্যাচে তিনটি ভাল স্কোর করেছিলেন, সেখানে এ আসরে তার সর্বোচ্চ ৪৮ রান। থিতু হয়েও বড় রান করতে পারেন নি। শেষ ম্যাচে ত একাদশেই জায়গা পান নি। আরেক ভরসা জাতীয় দলের ওপেনার ইমরুল কায়েসও করেছেন হতাশ। যেখানে টপ অর্ডারকে দায়িত্ব নিতে হয় বড় সংগ্রহের জন্য সেখানে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা।
হাল ধরতে পারে নি তরুণ মিডল অর্ডারও। ১০০ এর আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে প্রতিটি ম্যাচে। কেবল প্রথম ম্যাচে শান্ত’র ফিফটি মান বাচায় মিডল ওয়ার্ডারের। শেষ পর্যন্ত প্রতিবারই লোয়ার ওয়ার্ডার টেনে নিয়ে গেছে দলকে।
সোহেল তানভীর বোলার হলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে লজ্জা দিয়েছে বাকিদের। তিন ম্যাচেই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন এই পাকিস্তানি। শেষ ম্যাচে এ আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৬১ রান করলেও সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে তাই ধারাবাহিকভাবেই ব্যর্থ কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা।
বোলিং এর দিক দিয়েও স্বস্তিতে নেই কুমিল্লা। দুই ম্যাচে বিপক্ষ দলকে মাঝারি মানের স্কোরে আটকাতে পেরেছে তারা। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছে দুই বিদেশি সোহেল তানভীর ও লেগ স্পিনার রাশিদ খান। কেবল খুলনার সাথেই ডেথ ওভারে ভাল বল করে কুমিল্লা। এছাড়া ডেথ ওভারে কোনো ম্যাচেই ভাল করতে পারে নি তারা। বোলিং এর মূল ভরসা এখন মাশরাফি আর ঐ দুই বিদেশিই। এক ম্যাচেই মাশরাফি তিন উইকেট পেয়েছেন। সাথে বাকি ম্যাচগুলোয় রান দেয়ার দিক থেকে ছিলেন কিপ্টে। তাকে সঙ্গ দিতে পারছে না কোন দেশি বোলারই।
প্রতি দল দুজন করে পুরনো প্লেয়ার রেখে দিতে পেরেছে এবারের বিপিএলে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় গতবার টুর্নামেন্ট সেরা বোলার আবু হায়দার রনিকে ছেড়ে দেয় কুমিল্লার টিম ম্যানেজম্যান্ট। এছাড়া এবাকোনো অভিজ্ঞ দেশি প্লেয়ারকেও কিনে নি তারা।
বিদেশি খেলোয়াররাও ফর্মহীন কুমিল্লার হয়ে। গত আসরের টুর্নামেন্টসেরা আসার জাইদি এবার ব্যাট বা বল- কোনোটাতেই সুবিধা করতে পারেননি। স্যামুয়েলসও ভালো শুরু করলেও হাল ধরতে পারেন নি ব্যাটিংয়ের। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম কিংবা শেহজাদও ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি।
কুমিল্লা তাই উড়িয়ে এনেছে টি টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা টেন ডেসকাটকে। যদিও প্রথম ম্যাচে তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া কুমিল্লার হয়ে খেলার জন্য এসেছেন নুয়ান কুলাসেকারা। এখন দেখার বিষয় কে হাল ধরেন কুমিল্লার। শেষ চারে খেলতে হলে বেশ অবাক করা কিছুই করতে হবে কুমিল্লার।
গুঞ্জন উঠেছে কুমিল্লার ম্যানেজম্যান্টের সাথে অখুশি ক্যাপ্টেন মাশরাফি। ম্যানেজম্যান্ট নাকি চাপিয়ে দিচ্ছে একাদশ। সে দল পছন্দ না হওয়ায় বাসায় চলে গিয়েছিলেন এমনও শোনা গিয়েছে মিডিয়ায়। কোন কিছুই পরিষ্কার না আর তাই নানা দিক থেকে আসছে নানা কথা। একটি জয়ই পারে এসব গুঞ্জনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে। আর সেজন্যই ভরসা মাশরাফি বিন মর্তুজা। যার নেতৃত্বেই গতবার অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল কুমিল্লা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন