শনিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এক কলেজে ৩ শিক্ষার্থী, ১ শিক্ষক

শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকেই ভাবছেন-এটা কীভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, সেটাই সম্ভব হয়েছে ভারতের ভিজিয়ানাগারাম জেলার ১৫৫ বছরের পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম আর গভারনমেন্ট সংস্কৃত কলেজে।

কলেজটি ১৮৬০ সালে প্রাকৃতিক সবুজে সজ্জিত এক মনোরম পরিবেশে প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার জন্য ভিজিয়ানাগারামের মহারাজারা প্রতিষ্ঠা করেন।

এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকার ১৯৫০ অধিগ্রহণ করে। পরে ২০০৪ সালে সংস্কৃত হাই স্কুল এবং এম আর গভারনমেন্ট সংস্কৃত কলেজে নামে একীভূত করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গভারনমেন্ট সংস্কৃত স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে পরিচিত।

ওই কলেজে ৩৭১ শিক্ষার্থী ও ১৩ জন শিক্ষক নিয়ে প্রাণবন্ত এক স্কুল সেকশন চালু করা হয়। তবে কলেজ পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষার্থী কমতে থাকে। বর্তমানে তিন শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক নিয়েই চলছে কলেজটি। ওই শিক্ষকই কলেজটির অধ্যক্ষ এবং অনুষদ প্রধান।

কলেজের জরা-জীর্ণ একতলা ভবনটির ২০০৩ সালের পরে কোনো অবকাঠামোগত সংস্কার করা হয়নি। অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে স্থানীয় তেলুগু এবং ইংরেজি ভাষার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে একদাশ শ্রেণি থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রাচীন সংস্কৃত ভাষার ওপর সমন্বিত গ্রাজুয়েশন কোর্স করানো হয়।

কলেজটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা বি রামা রাও বলেন, প্রতিটি বিষয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এক দশক আগে এখানে সংস্কৃত বিভাগে ২০ শিক্ষার্থী ছিল। গত বছর পাঁচ জন থেকে চলতি বছর তিন জনে নেমে এসেছে। বর্তমানে কলেজটিতে বিএ প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষর্থী এবং স্নাতক শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

স্কুল ও কলেজটির কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, জেলার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয়। তাই যেসব বিষয় পেশাগত ক্ষেত্রে ভালো চাকরির দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে, শিক্ষার্থীরা সেসব বিষয়ে পড়তে বেশি আগ্রহী হয়। চাকরির ক্ষেত্রে সংস্কৃত বিষয়টি অবহেলিত, তাই তারা এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহ দেখায় না। যেসব শিক্ষার্থীদের অন্য কোথাও লেখাপড়ার করা উপায় থাকে না, তারাই এই সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হয়।

২০০৪ সাল থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা কলেজটির একমাত্র শিক্ষক সোয়াপনা হেইনদাভি শিক্ষার্থী সংকট প্রসঙ্গে বলেন, প্রাচীন ও বৈজ্ঞানিক এই ভাষা শিক্ষায় সরকার কোনো সহযোগিতা করে না, বৃত্তি দেয় না, চাকরি দেয় না, এমন কী স্বীকৃতিও দেওয়া হয় না। তাই কেউ এই ভাষা শিক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহ দেখায় না। ফলে অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের সংস্কৃত কলেজে পাঠান না।

কলেজটির হাইস্কুল অংশে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ রয়েছে। হাই স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এম ভানুপ্রকাশ বলেন, ঐতিহ্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের ২শ’ মার্কসের সংস্কৃত ভাষা শেখাই। সেই সঙ্গে ইংরেজি, হিন্দি, তেলুগু, গণিত, জীববিজ্ঞান এবং সামজিক শিক্ষার মতো বিষয় পড়ানো হয়।

তিনি বলেন, আমরা নতুন ভবন নির্মাণ করতে চাই। সরকারের বাজেটও বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু কলেজ এবং স্কুল এক সঙ্গে থাকায় তহবিল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। স্কুলের ভবন সম্প্রসারণে কলেজের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

ভিজিয়ানাগারাম জেলার ডিপুটি কালেক্টর এস ডি অ্যানিতা বলেন, যদিও কলেজটির অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও আমরা সংস্কৃত কলেজটি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে নির্দেশনা পাইনি।

এক সময়ের তুমুল জনিপ্রিয়, প্রচলিত ও আভিজাত্যের প্রতীক সংস্কৃত ভাষার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই বিশ্বজুড়ে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ