এক বছর বিয়ার পান করেননি ওয়ার্নার, কারণ…
চাইলে মানুষ নিজেকে পাল্টে ফেলতে পারে অবলীলায়। অভ্যাসের দাস না হয়ে অভ্যাসকে নিজের দাস বানাতে পারে সে; অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট তারকা ডেভিড ওয়ার্নার যেন সে কথাই প্রমাণ করে দিলেন। এক সময় যিনি ক্রিকেটে ‘ব্যাড বয়’ বা দুষ্ট ছেলের তকমা পেয়েছিলেন, সেই তিনিই দেখালেন কীভাবে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হয়; কীভাবে নিত্য দিনের অভ্যাস পাল্টে লক্ষ্যে প্রতি স্থির-অবিচল থাকা যায়, পৌঁছানো যায় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি২০ ক্রিকেটের এবারের শিরোপা জিতেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ক্রিকেট ভক্তদের কাছে এখনো এই তথ্য পুরোনো। দলটিকে শিরোপা জিততে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই তথ্যও জানা হয়ে গেছে সবার। তবে অনেকেই হয়তো জানে না এই সাফল্য পাওয়ার জন্য কতটা আত্মত্যাগ করেছেন এই ক্রিকেটার।
মদ-অ্যালকোহল-বিয়ার―এগুলোর প্রতি বরাবরই তীব্র আকর্ষণ ওয়ার্নারের। সেই আকর্ষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে ক্রিকেট থেকে তিনি যা আয় করেন এর বেশির ভাগই বিনিয়োগ করেন ভদকার (এক ধরনের মদ) ব্যবসায়। অথচ সেই ওয়ার্নারই গত একটি বছর কোনো প্রকার অ্যালকোহল বিশেষত বিয়ার পান করেননি একটা লক্ষ্য সামনে রেখে। সেই লক্ষ্য ছিল আইপিএলে ভালো কিছু করার। নিজের লক্ষ্যে তিনি এতটাই অবিচল ছিলেন যে, কেউ তাকে এই অ্যালকোহল ছোঁয়াতে পারেনি। শেষ অব্দি অবশ্য তিনি অবশ্য মদ পান করেছেন। তিনি তা করেছেন গত ২৯ মে রাতে; আইপিএলের শিরোপা জয় করে।
শিরোপা উৎসবের সেই রাতে ওয়ার্নার উপস্থিত সবাই উদ্দেশ করে বলেন, ‘এটা ২ বছরের দীর্ঘ যাত্রার অবসান…আমরা জানতাম যে (ফাইনালে) আমাদেরকে ২০০ রানের বেশি করতে হবে ওই দলটিকে (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু) হারাতে…তারা দারুণ একটি দল…তবে আমাদের খেলোয়াড়রা দারুণ খেলে জয় ছিনিয়ে এনেছে…আমি নিজের সতীর্থদের নিয়ে দারুণ গর্বিত। আজ আমরা বাঁধভাঙা উল্লাস করব এবং আমার নিজের জন্য খানিকটা বিয়ার পান করার সময় এসেছে।’
আসরে ৯টি হাফসেঞ্চুরিসহ মোট ৮৪৮ রান (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ) করেছেন ওয়ার্নার। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি পুরো আসরেই ব্যাট হাতে বলতে গেলে একাই দলকে টেনে নিয়েছেন শিরোপা উৎসব পর্যন্ত। ওয়ার্নারের সাধনা (অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা) তাই সফল হয়েছে। তবে নিজেকে একা কৃতিত্ব দেওয়ার মতো স্বার্থপর নন ওয়ার্নার; সাফল্যের জন্য পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
আইপিএল মিশন শেষ। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে হবে তাকে। এর আগে নিউইয়র্কে অবসরের এই মুহূর্তটি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানের সঙ্গে উপভোগ করছেন তিনি। এই একটি জায়গাতেই বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। খুব বেশি দিন নয় যে বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ার্নারের প্রতিচ্ছবি ছিল একজন উচ্ছৃঙ্খল ও নেতিবাচক স্বভাবের মানুষ হিসেবে। একাধিকবার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল শাস্তি দিয়েছে তাকে। অথচ সেই ওয়ার্নার এখন শান্ত-সৌম্য-পারিবারিক একজন মানুষ। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? উত্তরে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘পিতৃত্ব পাল্টে দিয়েছে আমাকে। সন্তানদের কাছে আমি একজন আদর্শবান পিতা হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন