বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এরশাদের সাংসদপদ বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস

প্রধানমন্ত্রীর বিশষ দূতের মতো ‘লাভজনক’ পদে থাকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক দল কল্যাণ পার্টির এক নেতা।

সংবিধানের ৬৬ (২), ৬৬ (৪) এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে এরশাদের সদস্য পদ বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মুবিনুল হকের এই নোটিসে।

সোমবার পাঠানো এই নোটিসে কল্যাণ পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক মুবিনুল হক বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদটি লাভজনক। সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে লাভজনক পদে থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সংসদ সদস্য পদে থাকবার যোগ্যতা হারিয়েছেন।”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ১২-এ লাভজনক পদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, “সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় ‘ফুলটাইম সার্ভিস’ পদধারীরা লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবে।”

কল্যাণ পার্টির নেতা মুবিনুল হক বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (৩) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ছাড়া অন্য সব পদ লাভজনক বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে জাপা চেয়ারম্যান ‘সুষ্পষ্টভাবে সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন’ করেছেন।

“নির্বাচন কমিশন আমার লিগ্যাল নোটিস আমলে না নিলে আদালতের শরণাপন্ন হব। বিরোধী দল এখন মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার স্বার্থেই এ আইনি প্রতিকার চাইছি আমি।”

নোটিসটি যে আমলে নেওয়া হচ্ছে না- তা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. শাহজাহান বলেন, “এ বিষয়ে কমিশনের কিছুই করার নেই। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদটি লাভজনক কি না তা আদালতে নির্ধারিত হতে হবে। লাভজনক পদের সংজ্ঞাও আইনে নির্ধারিত রয়েছে।”

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে অনেক নাটকীয়কতার মধ্যে সিএমএইচে থাকা অবস্থায় রংপুর-১ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এক পর্যায়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও বিজয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হিসেবে শপথ নেন এবং মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পান।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে নিজে কোনো সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছি না। আমার সরকারি গাড়ি-বাড়িরও প্রয়োজন নেই। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার যেটুকু সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য সেটুকু ভোগ করেই আমি বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করতে চাই।”

ভোটের নয় মাস পর গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত সনদ ও সম্পদের তথ্য জারিয়াতির অভিযোগে এরশাদের সাংসদপদ বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন রংপুর-৩ আসনে এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাসদ নেতা সাব্বির চৌধুরী। কমিশনের সাড়া না পেয়ে পরে তিনি আদালতেও যান।

তার রিট আবেদনটি কয়েকটি আদালতে দেওয়া হলেও কোনো বিচারক তা শুনতে চাননি। নির্বাচন কমিশন আইনি লড়াই না চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বিষয়টি সেখানেই থেমে যায়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল