শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এ কেমন জামাই আদর!

জামাই আদর বলতেই চোখের সামনে একটু বাড়তি যত্নআত্তির দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। কিন্তু এ কেমন জামাই আদরের ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারীর চর ফুলবাড়ী গ্রামে? জামাই ও ঘটককে মাথা ন্যাড়া করে সারাগ্রাম ঘুরিয়ে ‘জামাই আদর’ করা হলো।

ফুলবাড়ী গ্রামের শাহজামালের বাড়িতে বিয়ের আমেজ। বরযাত্রীরাও উপস্থিত। কাজী এসে বিয়ের কাজ শেষ করে দিলেন। খাওয়া-দাওয়া আর ইষ্টি কুটুম্বদের সমাগমে গোটা বিয়ে বাড়িতেই আনন্দের উত্তাপ। বরের বাড়ি অনেক দূরে। তাই বাসরের ব্যবস্থা হয় কনে বাড়িতেই। বাসর ঘরে হঠাৎ বরের মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। ফোন ধরেন নববধূ। ও প্রান্ত থেকে মেয়ে কণ্ঠের আওয়াজ-‘কোথায় তুমি?’ এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। সময় যায় আর সঙ্গে সঙ্গে ফাঁস হতে থাকে বরের অতীত কুকীর্তি। ফেঁসে যান জামাই ও ঘটক।

মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানা গেল বর আতোয়ার রহমানের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে। পেশায় সে ছিচকে চোর। এ পর্যন্ত বিয়ে করেছে ৪টি। এটা তার ৫ম বিয়ে। স্ত্রীরা তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে কেউ তালাক দিয়েছে আবার কেউ তালাক না দিয়েই চলে গেছে। এর মধ্যে রোজিনা খাতুন নামে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২ বছর সংসার হয় তার। সেদিক থেকে একটি দেড় বছরের ছেলে রয়েছে।

চতুর্থ স্ত্রী চলে যাওয়ার পর আতোয়ার রহমান ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে বছরখানেক থেকে এলাকায় আসে ভালো মানুষ সেজে। নিজ এলাকায় কোনো কনে না পাওয়ায় দুরের কোনো এলাকায় বউ খুঁজতে রফিক নামে এক ঘটকের সহযোগিতা নেয়। একই উপজেলার ডাটিয়ার চর গ্রামে তার বাড়ি। রফিক ঘটক ঘটকালি সূত্রে পরিচয় হয় রৌমারী উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের বক্তজামানের সঙ্গে। ঘটক বক্তজামান বিয়ে করে একই উপজেলার চরফুলবাড়ি গ্রামে। শ্বশুর বাড়ি এলাকায় সে বউ হিসেবে খুঁজে পায় শাহজামালের ষোড়শি কন্যা শাহাজাদিকে।

এদিকে শাহজামাল মিয়া ওই গ্রামের একজন প্রান্তিক কৃষক। জমিজমা না থাকলেও বর্গা চাষ করে কোনোরকমে ৫ সন্তানসহ ৭ সদস্যের সংসার চালান। দু’মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এটা হলে কন্যাদায় থেকে মুক্তি পান তিনি। তাই কোনো কিছু না ভেবেই চাটুকার ঘটকের কথায় কন্যাদান সম্পন্ন করেন।

কিন্তু পরদিন সকল খবরাখবর জানাজানি হলে সবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। গ্রামের মাতাব্বর, ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসী জড়ো হয় সেই জামাইকে দেখতে। কেউ বলছেন এই প্রতারককে পুলিশে দাও। কেউবা বলছেন গাছের সঙ্গে বেঁধে আচ্ছা করে পিটুনি দেয়া হোক। আবার কেউ কেউ হাতে যা আছে তাই দিয়ে সামান্য উত্তম-মধ্যম দিয়ে জামাই আদর শুরু করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক কাজী এনে মেয়ের দ্বারা ডিভোর্স করিয়ে ঘটক ও বরের মাথা ন্যাড়া করে গ্রাম ঘুরিয়ে বিদায় করে দেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ