বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কন্যাশিশুর নিরাপদ পরিবেশ, সমৃদ্ধ করবে বাংলাদেশ

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন আজ। দিনটি কন্যা শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আজকের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পর্যন্ত শিশু শোভাযাত্রা, শিশু সমাবেশ ও বিভিন্ন রাইডে শিশুদের আরোহণ, কন্যা শিশুদের মানববন্ধন, আনন্দ অনুষ্ঠান, বিতর্ক, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ডায়ালগ সেশন, লিফলেট, বুকলেট, পোষ্টার প্রকাশ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জার্নাল প্রকাশ, কন্যাশিশু বার্তা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকাল সোয়া ১০টায় শিশু একাডেমী অডিটরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট লালন সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভিন ও এভারেস্ট জয়ী এম. এ. মুহিত। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশে দিবসটির স্লোগান হচ্ছে, ‘কন্যাশিশুর নিরাপদ পরিবেশ, সমৃদ্ধ করবে আগামীর বাংলাদেশ’।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ২০১৫-এর প্রতিপাদ্য হলো ‘কিশোরীর শক্তি: দৃশ্যকল্প ২০৩০’। এই প্রতিপাদ্যটি কন্যাশিশুদের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সামাজিক দক্ষতার বিষয়ে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে, যাতে আজকের কিশোরী ১৫ বছর পর ২০৩০ সালে সুস্থ শিক্ষিত, দক্ষ ও কাজে নিযুক্ত পূর্ণবয়স্ক নারীতে পরিণত হতে পারে। কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগে সমতাপূর্ণ ও টেকসই উন্নয়নের সুফলগুলো আরও নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া কিশোরীদের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নও নিশ্চিত হয়।

ইউএনএফপির প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি প্রায় শতভাগ এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণও আশাব্যঞ্জক, প্রায় ৬৯ শতাংশ (ব্যানবেইস ২০১৪)। তবে ঝরে পড়ার হার এখনো অনেক বেশি, ৪৭ শতাংশ (ব্যানবেইস)। এতে স্পষ্ট হয় যে অধিকাংশ মেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারছে না।

বাল্যবিবাহের প্রচলন বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে এক বড় বাধা। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষায় ঝরে পড়ার উচ্চহারের নেপথ্যে এটি একটি বড় কারণ।

মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১২-১৩ অনুযায়ী বিয়ের কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ে কিশোরীদের ঝরে পড়ার হার ৫২ শতাংশ। বাংলাদেশ জনমিতিক ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০১৪ অনুযায়ী, কিশোরীদের জীবিত সন্তান জন্মদানের হার প্রতি হাজারে ১১৩, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। কিশোরীর সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এটা বন্ধ করা প্রয়োজন।

বিডিএইচএস ২০১৪ অনুযায়ী, বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিরোধক সামগ্রী ব্যবহারের হার (সিপিআর) ৪৭ শতাংশ, যা জাতীয় সিপিআরের চেয়ে কম। এই বিষয়টির প্রতিও বাড়তি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এই কিশোরীদের অবশ্যই বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে হবে। এতে দেশে বাল্যবিবাহের হার কমবে এবং কিশোরীদের সন্তান জন্মদানের হার কমবে। এই তরুণ জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যদি বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়সে মাতৃত্বের কারণে হারিয়ে যায়, তাহলে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে এবং দৃশ্যকল্প ২০৩০ অর্জনের বিষয়টিও কঠিন হয়ে পড়বে।

এই বিশেষ দিনে, কিশোরীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় যুক্ত সরকারি-বেসরকারি খাতের সবাইকে ‘কিশোরীর শক্তি: দৃশ্যকল্প ২০৩০’ বুঝতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করতে হবে।

জাতিসংঘের বিবরণ অনুযায়ী:
* উন্নত মানের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ এবং অন্যান্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য আরও বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে মেয়েরা জীবন, কর্ম ও নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

* কৈশোরের বছরগুলোয় স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য বিনিয়োগ, বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষা, মাসিক চলাকালীন সুস্থ থাকার উপায় এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষা ও সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।

* কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়ন বা সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’-নীতি গ্রহণ করতে হবে।

* বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে ও নারীর যৌন স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নীতিগত উদ্যোগ নিতে হবে।

* কিশোরীর নাগরিক ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

* কিশোরীদের জন্য প্রযোজ্য জেন্ডার-বিষয়ক আইন এবং নীতিমালা সম্পর্কে সবাইকে, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, অরক্ষিত ও প্রান্তিক এবং মানব পাচার ও যৌন নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা কিশোরীদের জানাতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র