কলাপাড়ায় কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মা-মেয়েকে পিটিয়ে জখম
গরীব হয়ে জন্মেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী দুএকজন লম্পটের চোখে যদি ভালো লাগে তাহলে চাইলেই দিতে হবে ১৩ বছরের কিশোরী কন্যার ইজ্জত ! গরীব অসহায় হয়েও প্রভাবশালীদের ‘ খায়েশ না মিটিয়ে উলটো প্রতিবাদ করলে এই ঘুনে ধরা নষ্ট সমাজের কোথাও কোথাও ভয়ানক নির্মমতার শিকার যে হতে হয় তা বুঝি জানতোনা অভিভাবকহীন এই অসহায় পরিবারটি ।
মারধরের সাত দিনেও মুছে যায়নি শরীরের কালো দাগগুলো। হাসপাতালে চিকিৎসার পরও শরীরের স্পর্শকাতর অংশে কালো ছোপ ছোপ দাগগুলো ফুটে আছে লম্পটদের নির্যাতনের চিহ্ন হিসাবে। মাত্র তের বছরের শিশু কন্যাকে দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে রাস্তায় ফেলে নির্দয় মারধর করা হয় শিশুটির মা ময়না বেগম ও নানী সুফিয়া বেগমকে। পৈশাচিক এমন ঘটনার সাক্ষী হল পটুয়াখালি ।
আমাদের পটুয়াখালী প্রতিনিধি জাহিদ রিপনের পাঠানো সংবাদ মতে, এঘটনায় সোমবার রাতে সুফিয়া বেগম কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।সুফিয়া বেগমের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে ময়না বেগম তার ১৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন। উপার্জন বলতে রাস্তার মাটি কাটা, সেলাইয়ের কাজ কিংবা মাছ ধরা। ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকার লোকমান ফকির, কামাল ফকির, দেলোয়ার ফকির সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এই নির্দয় নির্যাতন করেছে। এরা তার মেয়ে ময়না বেগম ও নাতিকে বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি করে আসছে। এদের যন্ত্রনায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ছাগলে আমন চারা খাওয়ার অজুহাত তুলে চালানো হয় পৈশাচিক নির্যাতন।
ময়নার মা বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম জানান, বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তারা। কোন পুরুষ লোক না থাকায় এই চক্রটি তাদের ওপর ঘৃন্য চক্রান্তে নেমেছে। বর্তমানে এ ঘটনার বিচার এবং নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় মা সুফিয়া ও মেয়ে ময়না বেগম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন